ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিয়ের কথা জানলেও মামুনুলকে চিনতো না ঝর্ণার পরিবার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার বিকেল ৩টায় রয়্যাল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশও। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে সেখান থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ওই সময় মামুনুল হক দাবি করেন সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। বেশ কয়েকদিন টানা রাতদিন পরিশ্রমের কারণে অনেকটাই হাপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই বিশ্রামের জন্য তাকে নিয়ে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দর্শনীয় স্থান ঘুরে রিসোর্টে গিয়েছিলেন তিনি।

মামুনুল হক ওই নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা বলে পরিচয় দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

এদিকে মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। সেই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝো মেয়ে। ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এদিকে শনিবার রাতে ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার পিতা ওলিয়ার রহমান ও মা শিরীনা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। তাদের দুটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

তারা জানান, আড়াই বছর আগে ঝর্ণার স্বামীর তার ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর পরিবার থেকে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কথা বললে সে বলতো তার বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে। তবে কার সাথে তার বিয়ে হয়েছে সে কথা পরিবারকে কখনও জানায়নি। শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিলেন; কিন্তু ঝর্ণার পরিবার তাকে চিনতো না।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জানান, ঝর্ণার পিতা ওলিয়ার রহমান একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি কামারগ্রাম চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। দুটি ছেলেও আছে, পরের বিয়ের বিষয়টি জানি না।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বিয়ের কথা জানলেও মামুনুলকে চিনতো না ঝর্ণার পরিবার

আপডেট টাইম : ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার বিকেল ৩টায় রয়্যাল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশও। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে সেখান থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ওই সময় মামুনুল হক দাবি করেন সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। বেশ কয়েকদিন টানা রাতদিন পরিশ্রমের কারণে অনেকটাই হাপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই বিশ্রামের জন্য তাকে নিয়ে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দর্শনীয় স্থান ঘুরে রিসোর্টে গিয়েছিলেন তিনি।

মামুনুল হক ওই নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা বলে পরিচয় দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

এদিকে মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। সেই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝো মেয়ে। ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এদিকে শনিবার রাতে ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার পিতা ওলিয়ার রহমান ও মা শিরীনা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। তাদের দুটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

তারা জানান, আড়াই বছর আগে ঝর্ণার স্বামীর তার ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর পরিবার থেকে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কথা বললে সে বলতো তার বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে। তবে কার সাথে তার বিয়ে হয়েছে সে কথা পরিবারকে কখনও জানায়নি। শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিলেন; কিন্তু ঝর্ণার পরিবার তাকে চিনতো না।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জানান, ঝর্ণার পিতা ওলিয়ার রহমান একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি কামারগ্রাম চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। দুটি ছেলেও আছে, পরের বিয়ের বিষয়টি জানি না।