ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম Logo স্কুল ছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল গ্রেফতার Logo যাত্রীর গায়ের পোশাক পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ Logo কালুখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন Logo ঈশ্বরদীতে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ, জরিমানা ১০ হাজার টাকা Logo ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ার দিঘীতে মিললো এক মণ ওজনের কোরাল মাছ, ৪০ হাজারে বিক্রি ! Logo পদ্মা নদী থেকে ১৯ ঘণ্টা পর কিশোরের লাশ উদ্ধার Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‌ছাত্রলীগের কর্মসূচি পালিত Logo ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় সরকারি খালের রাস্তা দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণের অভিযোগ

সরকারি খালের পাড়ের রাস্তার জমি দখল করে গোয়াল ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের শহীদ লস্করের (৫৫) উপর। তিনি ঐ গ্রামের মৃত মকবুল লস্করের ছেলে।
সরজমিনে গত রবিবার ২৩ জুলাই দুপুর ১২.৩০ টার সময় দেখা যায় অভিযুক্ত শহীদ লস্কর তার বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের পাড়ের সরকারি রাস্তা দখল করে একটি গোয়ালঘর নির্মাণ করেছেন এবং গোয়াল ঘরের সামনে দিয়ে তার নিজের দলিল কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী একই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ লস্কর জানান, শহীদ লস্করের বাড়ির সামনের জমির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রায়শই তিনি বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং বাধা দেন। গত দেড় বছর পূর্বে তার পিতা আউয়াল লস্কর ধানের গাড়ি শহীদ লস্করের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে শহীদ লস্কর বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়, পরবর্তীতে শহীদ লস্কর এবং তার ছেলেরা তার পিতা কে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে এবং তিনি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয়।
সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩ মাসের মধ্যে খালপাড়ের রাস্তার জমি দখল করে নির্মিত গোয়ালঘর স্থানান্তর করে সরকারি রাস্তা জনগণের চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অভিযুক্ত শহীদ লস্কর প্রায় ১ বছর ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পরও তার গোয়ালঘর স্থানান্তর করেননি। গোয়ালঘর সরিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় শহীদ লস্করসহ আরো ৩-৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানান এই  অভিযোগকারী।
এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী লোকজন জানান, সরকারি রাস্তা দখল করে গোয়ালঘর স্থাপন করায় তাদের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সালিশের সিদ্ধান্ত না মেনে শহীদ লস্কর জোর করে সরকারি জায়গা দখল করে গোয়ালঘর তৈরি করে রেখেছেন। গোয়ালঘর ভেঙ্গে দিয়ে  সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।
সব্দালপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংগঠিত সালিশে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা নওশের আলী লস্কার জানান, গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে ধানের গাড়ি আনা কে কেন্দ্র করে শহীদ লস্কর ও তার ছেলেরা আওয়াল লস্করকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটা সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয় এবং এতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী তিন মাসের মধ্যে শহীদ লস্কর তার গোয়ালঘর ভেঙে সরকারি রাস্তা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু তিন মাসের জায়গায় দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি তা করেননি।
শহীদ লস্কর বলেন, সালিশে সিদ্ধান্ত ছিল তার জমির উপর দিয়ে প্রদত্ত রাস্তা ব্যবহারে যেন  জনগণকে বাধা সৃষ্টি না করা হয়। অদ্যবধি ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি কাউকে তিনি বাধার সৃষ্টি করেন নি। তিনি আরো বলেন, গোয়াল ঘর স্থানান্তরের জন্য সময় প্রয়োজন।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ঈশ্বরদীতে তাপদাহে লিচুর ফলন বিপর্যয়, বেড়েছে দাম

error: Content is protected !!

মাগুরায় সরকারি খালের রাস্তা দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
সরকারি খালের পাড়ের রাস্তার জমি দখল করে গোয়াল ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের শহীদ লস্করের (৫৫) উপর। তিনি ঐ গ্রামের মৃত মকবুল লস্করের ছেলে।
সরজমিনে গত রবিবার ২৩ জুলাই দুপুর ১২.৩০ টার সময় দেখা যায় অভিযুক্ত শহীদ লস্কর তার বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের পাড়ের সরকারি রাস্তা দখল করে একটি গোয়ালঘর নির্মাণ করেছেন এবং গোয়াল ঘরের সামনে দিয়ে তার নিজের দলিল কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী একই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ লস্কর জানান, শহীদ লস্করের বাড়ির সামনের জমির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রায়শই তিনি বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং বাধা দেন। গত দেড় বছর পূর্বে তার পিতা আউয়াল লস্কর ধানের গাড়ি শহীদ লস্করের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে শহীদ লস্কর বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়, পরবর্তীতে শহীদ লস্কর এবং তার ছেলেরা তার পিতা কে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে এবং তিনি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয়।
সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩ মাসের মধ্যে খালপাড়ের রাস্তার জমি দখল করে নির্মিত গোয়ালঘর স্থানান্তর করে সরকারি রাস্তা জনগণের চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অভিযুক্ত শহীদ লস্কর প্রায় ১ বছর ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পরও তার গোয়ালঘর স্থানান্তর করেননি। গোয়ালঘর সরিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় শহীদ লস্করসহ আরো ৩-৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানান এই  অভিযোগকারী।
এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী লোকজন জানান, সরকারি রাস্তা দখল করে গোয়ালঘর স্থাপন করায় তাদের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সালিশের সিদ্ধান্ত না মেনে শহীদ লস্কর জোর করে সরকারি জায়গা দখল করে গোয়ালঘর তৈরি করে রেখেছেন। গোয়ালঘর ভেঙ্গে দিয়ে  সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।
সব্দালপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংগঠিত সালিশে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা নওশের আলী লস্কার জানান, গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে ধানের গাড়ি আনা কে কেন্দ্র করে শহীদ লস্কর ও তার ছেলেরা আওয়াল লস্করকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটা সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয় এবং এতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী তিন মাসের মধ্যে শহীদ লস্কর তার গোয়ালঘর ভেঙে সরকারি রাস্তা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু তিন মাসের জায়গায় দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি তা করেননি।
শহীদ লস্কর বলেন, সালিশে সিদ্ধান্ত ছিল তার জমির উপর দিয়ে প্রদত্ত রাস্তা ব্যবহারে যেন  জনগণকে বাধা সৃষ্টি না করা হয়। অদ্যবধি ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি কাউকে তিনি বাধার সৃষ্টি করেন নি। তিনি আরো বলেন, গোয়াল ঘর স্থানান্তরের জন্য সময় প্রয়োজন।