কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। তিনি নিজে একটু সুস্থ বোধ করছেন জানালেও চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আজ ২০জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেডিসিন (পুরুষ) ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন। একজন নার্স তাঁর শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করছেন। পাশেই জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বসে আছেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতকালের তুলনায় আজ তিনি সুস্থ বোধ করছেন। ছোবল দেওয়া পায়ের ব্যথাও আগের তুলনায় কমেছে। শরীরে আর কোনো তেমন জ্বালাযন্ত্রণা নেই। তবে পা যথেষ্ট ফোলা আছে। ইনজেকশন দেওয়া হাতেও ব্যথা করছে।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বটতলা এলাকায় গড়াই নদের পাড়ে জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাজা (৫৪) নামের ওই ব্যবসায়ীকে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার ছোবল দেয়। এরপর রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন তিনি। তিনি ওই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। ঘটনার পর কাছে থাকা লাঠি দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন জাহিদুল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাপটি নিয়ে তিনি দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যান।
জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। সকালের দিকে কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দেখতে এসেছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসকেরাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। কয়েকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছে, সেগুলো করানো হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, জাহিদুলকে আরও কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চিকিৎসা চলছে। রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে। জাহিদুল এখনো শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। ।
প্রিন্ট