ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক Logo খোকসায় মুক্তিযোদ্ধা দিয়ানত আলী মাস্টার ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন Logo ফরিদপুরে আইডিইবির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‌ Logo এম এ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবলের ‌ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি — হারুন অর রশীদ Logo বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়া ও রকিবুল ইসলাম বকুলের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল Logo হাতিয়ায় শহীদ রিজভীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম Logo মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহত অভিভাবক রজনীর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন Logo বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে পালিত হচ্ছে ফাতেহা শরীফ Logo রংপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাসেলস ভাইপারের ছোবল খাওয়া ব্যক্তি সুস্থ বোধ করলেও চিকিৎসক বলছে শঙ্কামুক্ত নয়

কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। তিনি নিজে একটু সুস্থ বোধ করছেন জানালেও চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।

 

আজ ২০জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেডিসিন (পুরুষ) ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন। একজন নার্স তাঁর শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করছেন। পাশেই জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বসে আছেন।

 

জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতকালের তুলনায় আজ তিনি সুস্থ বোধ করছেন। ছোবল দেওয়া পায়ের ব্যথাও আগের তুলনায় কমেছে। শরীরে আর কোনো তেমন জ্বালাযন্ত্রণা নেই। তবে পা যথেষ্ট ফোলা আছে। ইনজেকশন দেওয়া হাতেও ব্যথা করছে।

 

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বটতলা এলাকায় গড়াই নদের পাড়ে জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাজা (৫৪) নামের ওই ব্যবসায়ীকে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার ছোবল দেয়। এরপর রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন তিনি। তিনি ওই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। ঘটনার পর কাছে থাকা লাঠি দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন জাহিদুল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাপটি নিয়ে তিনি দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যান।

 

জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। সকালের দিকে কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দেখতে এসেছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসকেরাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। কয়েকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছে, সেগুলো করানো হবে।

 

 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, জাহিদুলকে আরও কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চিকিৎসা চলছে। রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে। জাহিদুল এখনো শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক

error: Content is protected !!

রাসেলস ভাইপারের ছোবল খাওয়া ব্যক্তি সুস্থ বোধ করলেও চিকিৎসক বলছে শঙ্কামুক্ত নয়

আপডেট টাইম : ১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। তিনি নিজে একটু সুস্থ বোধ করছেন জানালেও চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।

 

আজ ২০জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেডিসিন (পুরুষ) ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন। একজন নার্স তাঁর শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করছেন। পাশেই জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বসে আছেন।

 

জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতকালের তুলনায় আজ তিনি সুস্থ বোধ করছেন। ছোবল দেওয়া পায়ের ব্যথাও আগের তুলনায় কমেছে। শরীরে আর কোনো তেমন জ্বালাযন্ত্রণা নেই। তবে পা যথেষ্ট ফোলা আছে। ইনজেকশন দেওয়া হাতেও ব্যথা করছে।

 

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বটতলা এলাকায় গড়াই নদের পাড়ে জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাজা (৫৪) নামের ওই ব্যবসায়ীকে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার ছোবল দেয়। এরপর রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন তিনি। তিনি ওই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। ঘটনার পর কাছে থাকা লাঠি দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন জাহিদুল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাপটি নিয়ে তিনি দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যান।

 

জাহিদুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। সকালের দিকে কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দেখতে এসেছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসকেরাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। কয়েকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছে, সেগুলো করানো হবে।

 

 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, জাহিদুলকে আরও কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চিকিৎসা চলছে। রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে। জাহিদুল এখনো শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। ।


প্রিন্ট