রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত কামরুজ্জামান এর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
১৬ জুলাই, রবিবার বিদ্যালয়ের সম্মুখভাগ বেত গাড়ি টু গংগাচড়া সড়কের পাশে পাল্লারহাট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপস্থিত মানববন্ধনে অভিভাবকগণের মধ্যে মালেকা বেগম জানান, এই প্রধান শিক্ষক আসার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতিতে ভরে গেছে বিদ্যালয়টি, ক্লাসও নিয়মিত হয় না, সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান এর অপসারণ চান তিনি।
অভিভাবক শাহী আফজালী জানান, বিদ্যালয়ে পরিবেশ শেষ করেছেন কামরুজ্জামান। গোপনে করোনাকালীন সময়ের প্রণোদনা টাকা ভাগবাটোয়ারার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।নিয়োগকে কেন্দ্র করে ক্লাস কে একদম শিকেয় তুলেছেন এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষক। প্রতিবাদ করেছি বলেই মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন আমাদের নামে।এ দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণ চাই।
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য ও ভুক্তভোগী একরামুল হক জানান, আমার অনুপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হলো আমি কিছুই জানি না, গংগাচড়ার বিভিন্ন সাংবাদিকগণের সামনে আমি গত সোমবার গংগাচড়া উপজেলা চত্বরে আমার পাওনা টাকা চাই।পরে উনি বিদ্যালয় এ এসে অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে বিষয়টি আপস মীমাংসা করেন।
কিন্তু পরের দিন গংগাচড়া মডেল থানায় গিয়ে আমার ব্যাপারে মিথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে ওনার অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে রুখে দিতে যা করার তা উনি করেন।এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানের অপসারণ চাই।
উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য শাহ্ ফজলুল্লাহ্, শাহ্ রাইয়ান, শাহ্ শাহী আফজালী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য একরামুল হক এর বিরুদ্ধে গত ১১ ও ১২ জুলাই তারিখে থানায় অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানের কাছে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নিয়োগ এ কোন টাকা নেয়া হয় নাই।ওরা বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানতে চায়।যা জানানো আমার পক্ষে অসম্ভব।সার্বিক বিষয় বিবেচনায় আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।
প্রিন্ট