কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষন ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নারায়নপুর, নুনখাওয়া, কেদার, বল্লভেরখাষ, ভিতরবন্দ, কচাকাটা,বেরুবাড়ীসহ প্রায় ৯াট ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহমান ব্রম্মপুত্র, দুধকুমর, গঙ্গাধর ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
পানির নিছে তলিয়ে আছে অসংখ্য কাচাঁ পাকা রাস্তা,বীজতলাসহ পাট ক্ষেত । এদিকে শিশু খাদ্যে, গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বন্দি এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেরেই চলছে। কৃষকের পাট,বিজতলাসহ বিভিন্ন সাক সবজি নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক । যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় কলাগাছের ভেলা ও ডিঙ্গি নৌকা যোগে সংগ্রহ করছে গো-খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
- আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে আইএমএফ
এছাড়াও শত শত বানভাষি মানুষ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। উপজেলার চর কাপনা, চর বেরুবাড়ী,মাঝিয়ালীর চর, চর শইলমারী, অষ্টাআশির চর, ঝুনকার চর,পদ্মার চরের বন্যা দুর্গত মানুষ ঔষধসহ সরকারী বেসরকারী ত্রান সহায়তার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগন ত্রান সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার আকুতি প্রকাশ করছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাদাত বলেন, আমরা বর্তমানে রায়গঞ্জ ও বামনডাঙ্গার ফান্দের চর পরিদর্শন করেছি। এ পর্যন্ত তিন শত পরিবারকে ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে ত্রানসহায়তা অব্যাহত রয়েছে।