কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্মতার জমির নামজারীর রেট ২০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে আবেদন বাতিল। শতশত অভিযোগ রয়েছে উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্মতার বিরুদ্ধে। উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মর্তা সাইদুল ইসলাম (তহশিলদার) নামজারী বিশ হাজার টাকার নিচে হলে আবেদন জমা নেননা। শুধু তাই নয়, উক্ত তহশিলদারের স্বেচছাচারিতা ও ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন বাসী। সরকারী আইনের তোয়াক্কা না করে জমির খাজনা খারিজে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রাহকগণ অফিসে এসে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে কৃষককে অফিসে সারাদিন বসিয়ে রেখে শেষ বেলায় বলেন আগামী কাল আসেন। এ ভাবেই দিনের পর দিন ঘুরাইতে থাকে। ফলে বাধ্য হয়েই অনেকে দালালের মাধ্যমে কাজ করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধা ছয়টার পরে অফিস সহায়ক আব্দুর রাজ্জাককে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে দড়জা জানালা বন্ধকরে দিয়ে শুরু হয় দেন দরবার। চুক্তি মোতাবেক টাকা না দিলে ফাইলের কাগজের স্বল্পতা ও ভুল ধরে মাসের পর মাস তালবাহানা করেন।
নারায়নপুরের আব্দুল মজিদ বলেন, একটা খারিজের জন্য আমার কাছে বিশ হাজার টাকা চেয়েছে, টাকা কম হলে কাজ হবে না। টাকা জোগার করতে না পাড়ায় জমি খারিজ করতে পারি নাই। নুর ইসলাম বলেন, আমাদের তহশিদারের কাছে খারিজের জন্য গেলে টাকার বস্তা নিয়া যাওয়া লাগে, অল্প টাকায় কাজ হয় না। ওমর আলী বলেন, এক একর ৮৫শতাংশ জমির জন্য খাজনা দিতে আসছি, তহশিলদার পনের হাজার টাকা চেয়েছে, এত টাকা না থাকায় ঘুরে যাচ্ছি।
- আরও পড়ুনঃ নতুন গন্তব্যে দেশের পণ্য
অপর একজন বলেন, দুই একর দশ শতাংশ জমির খাজনার টাকা আট হাজার টাকা চেয়েছে। আজকে এতগুলো টাকা না থাকায় ফেরত যাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমার নিকট থেকে খাজনার মোট ১৫হাজার টাকা নিয়ে ৪হাজার একশত ৪১টাকার রশিদ দেয় তহশিলদার সাইফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্মতার সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট