বরগুনার আমতলীতে ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুটিতে থাকা এক গার্মেন্টস কর্মীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের কঠিন বিচার চেয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাও করেছেন ওই নির্যাতনের শিকার সাবিনা আক্তার (২৫)এর বাবা মোঃ বাবুল হাওলাদার।
এ ঘটনাটি চলতি মাসের মঙ্গলবার ( ০৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা চাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাচা রাস্তার পাশে ঘটেছে।
মামলা ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা গ্রামের মোঃ বাবুল হাওলাদার এর মেয়ে সাবিনা আক্তার একজন গার্মেন্টস কর্মী। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসছেন। তার কর্মস্থলে কাজের চাপ কম থাকায় নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছেন।
সাবিনা আক্তার ও তার বান্ধবি তার নিজ বাসা থেকে ডিম কেনার উদ্দেশ্য দোকানে পৌঁছালে বখাটে সাইফুল ইসলাম বাবু (২৬) তাকে কথা বলার উদ্দেশ্য ডেকে নেয় এবং জোর করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টা করে। এসময় ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ওই বখাটে। পরে ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে বখাটে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও ওই বখাটে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো সাবিনা আক্তারকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষন চেষ্টা ও নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারের ওপর খারাপ আচরণ ও বিভিন্ন ভয়ভিতী দেখায় সাইফুল ইসলাম বাবুর পরিবার। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবু ও মোঃ হারুন হাওলাদার একই এলাকার বাসিন্দা।
নির্যাতনের শিকার সাবিনা আক্তার ও তার বান্ধবিকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।
নির্যাতনের শিকার ওই গার্মেন্টস কর্মীর বাবা মোঃ বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাইফুল ইসলাম বাবু (২৬) ও মোঃ হারুন হাওলাদার কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ বাবুল হাওলাদার বলেন, আমরা গরীব মানুষ। এর আগেও এলাকাবাসীর কাছে বলেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। প্রশাসন যেন সুষ্ঠু বিচার করে। আর কোনো মেয়ের অবস্থা যেন এমন না হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, গত মঙ্গলবারে সাবিনা আক্তারকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, মামলার কাগজ হাতে পাইনি এখনো। কাগজ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট