ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিয়ের দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিবদমান দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশের আটকের ভয়ে হরিহরনগর গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য। যেকোনো সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মহিলারা।

আহতরা হলেন- আনোয়ার (৫০), ওবায়দুর (৪৫), ইমরুল (৩৫), মঞ্জু (৫২), মিঠুন মোল্লা (৪৮), বাকিয়ার (৬০) প্রমুখ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু এবং যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গাছ ব্যবসায়ী বাকিয়ার মোল্যার মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

ঈদুল আজহার আগে মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে মঞ্জু মেম্বার (সাবেক) এবং একই গ্রুপের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলী মেম্বারের (সাবেক) মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু মেম্বার তার প্রতিপক্ষ বাকিয়ার মোল্যার সাথে মিশে যায়। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে মঞ্জু ও বাকিয়ার একত্রে তাদের কিছু অনুসারীদের নিয়ে হরিহরনগর বাজারে চা পান করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেব মেম্বার তার লোকজন নিয়ে মঞ্জু মেম্বারের অনুগত সরোয়ারকে (৬০) কুপিয়ে আহত করে।

এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের আক্রমণে সাহেব মেম্বার আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী যুগিবরাট গ্রামের পান্নু কাজী এবং উথলি গ্রামের আজিজ মাতুব্বরের নেতৃত্বে একদল লোক সাহেব মেম্বারের অনুসারীদের সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু ও বাকিয়ারের নেতৃত্বে সংঘটিত অপর পক্ষের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

মারাত্মক আহত মঞ্জু মেম্বারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত বাকিয়ার মোল্যা পার্শ্ববর্তী মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানান। আটকের ভয়ে পুরো হরিহরনগর গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাকিয়ার মেম্বার এবং সাহেব আলী মেম্বারের বাড়ি গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। উভয় গ্রুপের যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বিয়ের দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০

আপডেট টাইম : ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
দীপঙ্কর পোদ্দার অপু, বিশেষ প্রতিনিধি, বোয়ালমারী, ফরিদপুর :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিবদমান দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশের আটকের ভয়ে হরিহরনগর গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য। যেকোনো সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মহিলারা।

আহতরা হলেন- আনোয়ার (৫০), ওবায়দুর (৪৫), ইমরুল (৩৫), মঞ্জু (৫২), মিঠুন মোল্লা (৪৮), বাকিয়ার (৬০) প্রমুখ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু এবং যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গাছ ব্যবসায়ী বাকিয়ার মোল্যার মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

ঈদুল আজহার আগে মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে মঞ্জু মেম্বার (সাবেক) এবং একই গ্রুপের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলী মেম্বারের (সাবেক) মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু মেম্বার তার প্রতিপক্ষ বাকিয়ার মোল্যার সাথে মিশে যায়। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে মঞ্জু ও বাকিয়ার একত্রে তাদের কিছু অনুসারীদের নিয়ে হরিহরনগর বাজারে চা পান করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেব মেম্বার তার লোকজন নিয়ে মঞ্জু মেম্বারের অনুগত সরোয়ারকে (৬০) কুপিয়ে আহত করে।

এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের আক্রমণে সাহেব মেম্বার আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী যুগিবরাট গ্রামের পান্নু কাজী এবং উথলি গ্রামের আজিজ মাতুব্বরের নেতৃত্বে একদল লোক সাহেব মেম্বারের অনুসারীদের সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু ও বাকিয়ারের নেতৃত্বে সংঘটিত অপর পক্ষের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

মারাত্মক আহত মঞ্জু মেম্বারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত বাকিয়ার মোল্যা পার্শ্ববর্তী মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানান। আটকের ভয়ে পুরো হরিহরনগর গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাকিয়ার মেম্বার এবং সাহেব আলী মেম্বারের বাড়ি গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। উভয় গ্রুপের যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।


প্রিন্ট