রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের কশবামাজাইল ইউপির কুঠিমালিয়াট গ্রামে পরপর দু’রাতে গোলোযোগের ঘটনায় মহিলাসহ ৪জন কমবেশি আহত হয়েছেন। গত রবিবার ২৮ মার্চ ও সোমবার ২৯ মার্চ রাত ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৭টার মধ্যে কুঠিমলিয়াট গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ গোলোযোগের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যার পর কুঠিমালিয়াট গ্রামের ফিরোজ শেখ (৪০) নামের এক ব্যক্তি হামলার শিকার হন। সে কুঠিমালিয়াট গ্রামের কালাম শেখের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা চলছে। পরদিন সোমবার দিবাগত রাত ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে হামলার শিকার হন চা দোকানী শাহিন মল্লিক (৩৫), তার স্ত্রী লিমা খাতুন (২৬) ও ছোট ভাই নয়ন মল্লিক (২২)।
শাহিন মল্লিককে মারধরে সময় তাকে রক্ষা করতে বাধা দিলে হামলাকারীরা লিমা খাতুন ও নয়ন মল্লিককে মারপিট করে। নয়ন মল্লিকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ফাটা-জখম হয়েছে। লিমা খাতুনের পিঠ, মাজাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা-জখম হয়েছে। সোমবার রাতেই নয়ন মল্লিক ও লিমা খাতুনকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহিন মল্লিক জানান, ফিরোজ শেখ তার ফুফাতো ভাই। রবিবার রাতে ফিরোজ শেখের উপর হামলার ঘটনায় সে বাধা দিলে ওই রাতেই তাকে হুমকি দেয় এবং দোকান বন্ধ রাখতে বলে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মেম্বারকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করলে ইউপি মেম্বার তাকে দোকান খোলার অনুমতি দেন।
এরপরও শাহিন মল্লিক ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পূর্ব দ্ব›েদ্বর জের ধরে একই গ্রামের সুমন মোল্লা, রাজন ও মাহফুজসহ এলাকার ৮/১০ জনের একটিদল এ মারধর ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত চা দোকানী শাহিন মল্লিক।
রাতেই গোলোযোগের খবর পেয়ে কশবামাজাইল ক্যাম্পের পুলিশ এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করে।
প্রিন্ট