নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) হত্যার ঘটনায় আটক প্রধান আসামি বাদশা (২৮) মারা গেছেন। রোববার (২৫ জুন) রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শনিবার (২৪ জুন) সকালে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নিহত বাদশা বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের মৃত কামালের ছেলে। আটকের পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন চন্দ্র দাস জানান, দুলাল হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ ছিল। শনিবার ভোরে অভিযুক্ত বাদশা এলাকায় আসার খবরে স্থানীয়রা তার বাড়ি ঘেরাও করে। একপর্যায়ে তাকে লোকজন ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন। দুলাল হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাদশাকে খুঁজছিল পুলিশ। গ্রামের লোকজনকে সতর্ক রাখা হয়েছিল। শনিবার গোপনে বাদশা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে তাকে আটক করে। এসময় পালাতে গিয়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদশার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হবে। তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে স্থানীয় রব মিয়ার পুকুরে আবুল ও বাদশা মাছ চুরি করেন, যা দুলাল দেখেছিলেন। তাকে বিষয়টি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন আসামিরা। কিন্তু দুলাল তা প্রকাশ করে দেন। এছাড়া দুলালের বাড়ির ওপর দিয়ে আসামিরা শ্মশানে গিয়ে মাদক সেবন করতেন। এ নিয়ে বাধা দেওয়ায় তারা দুলালের ওপর আগে থেকে ক্ষিপ্ত ছিলেন।
গত ১০ জুন সকালে টঙ্গীরপাড় গ্রাম থেকে দুলাল চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর সন্দেহবশত স্থানীয় আবুল নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেন এবং বাদশা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে পুলিশকে জানান।
প্রিন্ট