ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে নয় দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo ১৪ই মে কালুরঘাট নতুন সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস Logo চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার Logo ফুলবাড়ীতে RUNNER EXPRESS এর স্বপ্ন অটো শোরুম উদ্বোধন Logo তানোরের হাটবাজারে অপরিপক্ব লিচু দাম আকাশছোঁয়া Logo রাজশাহীতে মোবাইল কোর্টে ৩ জন বালাইনাশক ব্যবসায়ীকে জরিমানা Logo সুইসাইড নোটে লেখা ‘আমার মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে’ Logo বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি ছাত্রদের, অত:পর অবরুদ্ধ সকল শিক্ষক Logo কুষ্টিয়ায় ৪০ দেশি শালিক পাখি উদ্ধার Logo অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পেলো দুদকঃ হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার ঢালাইয়ের পিচ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আলফাডাঙ্গায় স্ত্রী, সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতা, এলাকায় শোকের মাতম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এখন শোকের মাতম। উপজেলার কুচিয়াগ্রামের সেনা সদস্য মাহামুদুল হাচান রনির ৪র্থ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান রেফাত ওরফে মেহেদী ও তার স্ত্রী বিউটি পারভিন নিহতের ঘটনায় শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন পিতাসহ গোটা এলাকাবাসী। মাহামুদুল হাচানের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সান্তনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও অশ্রুসিক্ত। শনিবার রাতে ছেলে-স্ত্রীর মরদেহ বাড়িতে আসার পর কান্নার রোল উঠেছিল বাড়িতে। উপজেলার সালেহা একাডেমীর ৪ র্থ শ্রেণিতে ক্লাসে মেহেদী প্রথম হয়েছিল।

জানা যায়, নিহত রিফাতের নানী অসুস্থ তছলিাম বেগমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রিফাতের মা বিউটি বেগমসহ নানা ও খালা বাড়ির ৮ জন সদস্য ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্স রওনা হলে শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সেপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার মালিগ্রাম এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে দগ্ধ হয়ে মারা যায় তাছলিমার বেগমসহ সাতজন। অন্য পাঁচ সদস্যর বাড়ি বোয়ালমারীতে হলেও মুস্তাফিজুর রহমান মেহেদী ও তার মাতা বিউটি পারভিনের বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামে।

প্রতিবেশী এমদাদুল হক জানান, মেহেদী অনেক মেধাবী ছিলেন, ছাত্র ভালো থাকায় উপজেলার একটি স্কুলে পড়ালেখা করাতেন। তার মা বিউটি বেগম সাথে নিয়ে যেতেন। দুইজনের মৃত্যুর কথা সুনে গতকাল থেকে রাতে ঘুমাতে পারছিনা। মেহেদীর পিতা মাহামুদুল হাচান রনি সেনা বাহিনীতে চাকুরী করে। সে এখন কথা বলতে পারছেনা, বোবা হয়ে গেছে। আমরা তাদের অনেক শান্তনা দিচ্ছি।

সালেহা একাডেমির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়েল ৪ র্থ শ্রেনির মেধাবী ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান রিফতা তার মা ডাকতেন মেহেদী। গত বছর তার মা-বাবা আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। তার মা বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতেন। তাদের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে বড় অফিসার বানাবেন। আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রকে অকালে হারালাম। সুনেছি তার মাসহ সাতজন এ্যাম্বুলেন্স আগুনে পুড়ে মারা গেছে। আমাদের বলার কোনো ভাষা নেই। আমাদের স্কুলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

 

ছেলে ও মায়ের লাশ শনিবার রাত ১০ টার দিকে কুচিয়াগ্রামের বাড়িতে আনা হয়। রোববার সকালে কুচিয়াগ্রাম কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে নয় দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন

error: Content is protected !!

আলফাডাঙ্গায় স্ত্রী, সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতা, এলাকায় শোকের মাতম

আপডেট টাইম : ০৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এখন শোকের মাতম। উপজেলার কুচিয়াগ্রামের সেনা সদস্য মাহামুদুল হাচান রনির ৪র্থ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান রেফাত ওরফে মেহেদী ও তার স্ত্রী বিউটি পারভিন নিহতের ঘটনায় শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন পিতাসহ গোটা এলাকাবাসী। মাহামুদুল হাচানের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সান্তনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও অশ্রুসিক্ত। শনিবার রাতে ছেলে-স্ত্রীর মরদেহ বাড়িতে আসার পর কান্নার রোল উঠেছিল বাড়িতে। উপজেলার সালেহা একাডেমীর ৪ র্থ শ্রেণিতে ক্লাসে মেহেদী প্রথম হয়েছিল।

জানা যায়, নিহত রিফাতের নানী অসুস্থ তছলিাম বেগমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রিফাতের মা বিউটি বেগমসহ নানা ও খালা বাড়ির ৮ জন সদস্য ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্স রওনা হলে শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সেপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার মালিগ্রাম এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে দগ্ধ হয়ে মারা যায় তাছলিমার বেগমসহ সাতজন। অন্য পাঁচ সদস্যর বাড়ি বোয়ালমারীতে হলেও মুস্তাফিজুর রহমান মেহেদী ও তার মাতা বিউটি পারভিনের বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামে।

প্রতিবেশী এমদাদুল হক জানান, মেহেদী অনেক মেধাবী ছিলেন, ছাত্র ভালো থাকায় উপজেলার একটি স্কুলে পড়ালেখা করাতেন। তার মা বিউটি বেগম সাথে নিয়ে যেতেন। দুইজনের মৃত্যুর কথা সুনে গতকাল থেকে রাতে ঘুমাতে পারছিনা। মেহেদীর পিতা মাহামুদুল হাচান রনি সেনা বাহিনীতে চাকুরী করে। সে এখন কথা বলতে পারছেনা, বোবা হয়ে গেছে। আমরা তাদের অনেক শান্তনা দিচ্ছি।

সালেহা একাডেমির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়েল ৪ র্থ শ্রেনির মেধাবী ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান রিফতা তার মা ডাকতেন মেহেদী। গত বছর তার মা-বাবা আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। তার মা বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতেন। তাদের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে বড় অফিসার বানাবেন। আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রকে অকালে হারালাম। সুনেছি তার মাসহ সাতজন এ্যাম্বুলেন্স আগুনে পুড়ে মারা গেছে। আমাদের বলার কোনো ভাষা নেই। আমাদের স্কুলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

 

ছেলে ও মায়ের লাশ শনিবার রাত ১০ টার দিকে কুচিয়াগ্রামের বাড়িতে আনা হয়। রোববার সকালে কুচিয়াগ্রাম কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।


প্রিন্ট