ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর পর ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালকও মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম মৃদুল মালো (২৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে।
এর আগে এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
- আরও পড়ুনঃ ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের রেলিংয়ে ধাক্কা, সিলিন্ডার বিস্ফোরন, এ্যাম্বুলেন্সে আগুন নিহত -৭
দরজা খুলে কোনোমতে বের হতে পারেন চালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে ঘটনাস্থলেই ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫), তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতি হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২) ও মেহেদি (১২)। এর মধ্যে কমলা বেগম ঢাকায় বসবাস করতেন। ছোট মেয়ে বিউটি বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামের মাহমুদ ইসলাম রনির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে এক মাস আগে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা। চিকিৎসা শেষে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন শনিবার সকালে তাছলিমা বেগম তার দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় সাতজনই প্রাণ হারান।
প্রিন্ট