ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ

একই পরিবারের ৭ জনের পর মারা গেলেন দগ্ধ চালকও

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর পর ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালকও মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম মৃদুল মালো (২৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে।
এর আগে এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দরজা খুলে কোনোমতে বের হতে পারেন চালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে ঘটনাস্থলেই ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫), তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতি হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২) ও মেহেদি (১২)। এর মধ্যে কমলা বেগম ঢাকায় বসবাস করতেন। ছোট মেয়ে বিউটি বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামের মাহমুদ ইসলাম রনির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে এক মাস আগে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা। চিকিৎসা শেষে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন শনিবার সকালে তাছলিমা বেগম তার দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় সাতজনই প্রাণ হারান।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

সর্বশেষ

একই পরিবারের ৭ জনের পর মারা গেলেন দগ্ধ চালকও

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
দীপঙ্কর পোদ্দার অপু, বিশেষ প্রতিনিধি, বোয়ালমারী, ফরিদপুর :
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর পর ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালকও মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম মৃদুল মালো (২৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে।
এর আগে এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দরজা খুলে কোনোমতে বের হতে পারেন চালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে ঘটনাস্থলেই ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫), তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতি হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২) ও মেহেদি (১২)। এর মধ্যে কমলা বেগম ঢাকায় বসবাস করতেন। ছোট মেয়ে বিউটি বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামের মাহমুদ ইসলাম রনির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে এক মাস আগে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা। চিকিৎসা শেষে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন শনিবার সকালে তাছলিমা বেগম তার দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় সাতজনই প্রাণ হারান।

প্রিন্ট