ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় ৬টি বসতবাড়ী আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত

ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত ৬টি বসতবাড়ি সহ বাড়িতে থাকা সমগ্র জিনিসপত্র পুড়ে ছাই। গত ২৭মার্চ,শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর গ্রামের ঝুড়ি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। রান্নাঘরের আগুন থেকে সূত্রপাত হয়ে ৬টি বাড়ী আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয় যার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল।

স্বরজমিন গিয়ে যানা গেছে, ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর গ্রামের ঝূড়ি পাড়ার কোরবান সর্দার ও আমীর হোসেন আমীরের ৬টি বসত বাড়ী। রান্নাঘর থেকে আগুন ধরে সমস্ত বাড়ি মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই। ৬টি বসতবাড়ীতে ঘরের মধ্যে থাকা আসবার পত্র, খাদ্য সামগ্রী, কবুতর, মুরগী এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পুড়ে যায়।রাখে আল্লাহ মারে কে, সবকিছু যখন পুড়ে ছাই তখন কোরআন শরীফ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল।ভেড়ামারা পৌরসাভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভেড়ামারা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। ভেড়ামারা পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাঈমুল হক ও আরো অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন উপজেলার নির্বাহি অফিসার সোহেল মারুফ।
এছাড়াও ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুল ক্ষতিগ্রস্থ ৬টি পরিবারের ২০জন সদস্যদের মাঝে তাৎক্ষণিক ভাবে হাড়ি, পাতিল, খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেন।

ভেড়ামারা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার মকলেছুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করছি রান্নার ঘরের আগুন থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ২টি গাড়ীর টাংকির পানি ফুরিয়ে যাওয়ার পরে আশে পাশে পুকুরে কোন পানি না থাকায় দূর থেকে পানি আনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কোরবান আলী বলেন, আগুন যখন আমার বাড়ীতে লাগে তখন বাড়ীতে কেহই ছিল না। ফলে বাড়ী থেকে একটি সূতা পর্যন্ত বের করতে পারি নাই, এমনকি একবেলা খাওয়ার চাউল পর্যন্ত নেই। সমস্ত কিচ্ছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। আমরা সরকার এবং বিত্তবানদের কাছে সহাযযোগীতা কামনা করছি।


Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় ৬টি বসতবাড়ী আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত

আপডেট টাইম : ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত ৬টি বসতবাড়ি সহ বাড়িতে থাকা সমগ্র জিনিসপত্র পুড়ে ছাই। গত ২৭মার্চ,শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর গ্রামের ঝুড়ি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। রান্নাঘরের আগুন থেকে সূত্রপাত হয়ে ৬টি বাড়ী আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয় যার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল।

স্বরজমিন গিয়ে যানা গেছে, ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর গ্রামের ঝূড়ি পাড়ার কোরবান সর্দার ও আমীর হোসেন আমীরের ৬টি বসত বাড়ী। রান্নাঘর থেকে আগুন ধরে সমস্ত বাড়ি মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই। ৬টি বসতবাড়ীতে ঘরের মধ্যে থাকা আসবার পত্র, খাদ্য সামগ্রী, কবুতর, মুরগী এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পুড়ে যায়।রাখে আল্লাহ মারে কে, সবকিছু যখন পুড়ে ছাই তখন কোরআন শরীফ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল।ভেড়ামারা পৌরসাভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভেড়ামারা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। ভেড়ামারা পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাঈমুল হক ও আরো অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন উপজেলার নির্বাহি অফিসার সোহেল মারুফ।
এছাড়াও ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুল ক্ষতিগ্রস্থ ৬টি পরিবারের ২০জন সদস্যদের মাঝে তাৎক্ষণিক ভাবে হাড়ি, পাতিল, খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেন।

ভেড়ামারা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার মকলেছুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করছি রান্নার ঘরের আগুন থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ২টি গাড়ীর টাংকির পানি ফুরিয়ে যাওয়ার পরে আশে পাশে পুকুরে কোন পানি না থাকায় দূর থেকে পানি আনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কোরবান আলী বলেন, আগুন যখন আমার বাড়ীতে লাগে তখন বাড়ীতে কেহই ছিল না। ফলে বাড়ী থেকে একটি সূতা পর্যন্ত বের করতে পারি নাই, এমনকি একবেলা খাওয়ার চাউল পর্যন্ত নেই। সমস্ত কিচ্ছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। আমরা সরকার এবং বিত্তবানদের কাছে সহাযযোগীতা কামনা করছি।