ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা

সন্দেহের তীর শাহিনার দিকে!

নির্ভীক সাংবাদিক একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক ও বাংলা নিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী হত্যাকান্ডে সন্দেহের তীর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের দিকে। নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়রা মনে করছেন তিনি এ হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা। অন্যদিকে এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতের স্বজনরা এখনো নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি স্বজনদের।

গত কয়েক মাস আগে ‘বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম রাজাকারের সন্তান সাংবাদিক নাদিম এমন খবর প্রকাশ করলে শাহিনা বেগমের ক্যাডার দ্বারা হামলার শিকার ও হত্যার হুমকি পান। এ সময় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ডায়েরি এবং ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান নাদিম। এরপর স্থানীয় সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। এবারও তিনি হত্যার হুমকির শিকার হন। এরপরই গত ১৪ জুন বুধবার রাত ১০টায় বকশীগঞ্জ শহরের পাটপট্টি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। হামলায় মারাত্মক আহত নাদিমকে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার ছয় দিন পরও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বকশীগঞ্জ এলাকায়। এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বিশ্বাস প্রভাবশালী কারও ইন্ধন ছাড়া মাহমুদুল আলম বাবুর মতো অজপাড়াগায়ের একজন ইউপি চেয়ারম্যান কখনই একজন সাংবাদিককে শহরের ভেতর প্রকাশ্যে খুন করতে পারেন না। তারা বলছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশই কাল হয় সাংবাদিক নাদিমের জন্য। বকশীগঞ্জে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষজন এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনার নেপথ্য ইন্ধনদাতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম। আর সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু তার একনিষ্ঠ অনুসারী।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুমান তালুকদার বলেন, ‘বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর মতো একজন অজপাড়া গায়ের চেয়ারম্যানের পক্ষে কখনই উপজেলা সদরে এসে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা সম্ভব না।’ তিনি জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘শাহিনা বেগম রাজাকারের সন্তান’ সাংবাদিক নাদিম এমন খবর পরিবেশন করায় গত কয়েক মাস আগে সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করে শাহিনা বেগমের লোকজন। সে সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তখন সাংবাদিক নাদিম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বকশীগঞ্জ থানায় জিডি করে এবং ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান।’

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজন মিয়া বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিম সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করতেন, যার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। নিহত সাংবাদিক নাদিমকে দমানোর জন্য যত ধরনের কৌশল আছে সেটা করেও তাকে দমাতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ শান্ত বলেন, বাবু চেয়ারম্যান এবং তার ছেলের পক্ষে সাংবাদিক হত্যা করা সম্ভব না।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপিত সাইদুর রহমান লাল বলেন, ‘বাবু চেয়ারম্যানের শেল্টারদাতা শাহিনা বেগম। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে সত্য উদ্ঘাটন হবেই।

তবে উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ড সংঘঠনকারীরা চিহ্নিত, আমার নাম আনা হচ্ছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে।’

নিহত নাদিমের স্বজনরা বলছেন, এজাহারভুক্ত সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবাবের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের দাবি সব আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত সম্প্রতি বকশীগঞ্জে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বলেন, ‘রাজাকার কন্যা শাহিনা বেগমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। এ খবর আমার বাবা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তার ওপর হামলা করেছিল শাহিনা বেগমের লোকজন। সে সময় আমার বাবা নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। সে সময় যদি এর বিচার করা হতো তাহলে আজ আমার বাবা হত্যাকান্ডের শিকার হতেন না। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নেপথ্য নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, এজারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাদের পুরো পরিবার নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন। তিনিও এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ‘নৃশংস এ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাঁচটি টিম কাজ করছে। গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ হত্যাকান্ডে জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে। তাদের ইন্টারগেশন করে এ হত্যাকান্ডে জড়িত যারাই থাকুক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা

সন্দেহের তীর শাহিনার দিকে!

আপডেট টাইম : ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

নির্ভীক সাংবাদিক একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক ও বাংলা নিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী হত্যাকান্ডে সন্দেহের তীর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের দিকে। নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়রা মনে করছেন তিনি এ হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা। অন্যদিকে এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতের স্বজনরা এখনো নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি স্বজনদের।

গত কয়েক মাস আগে ‘বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম রাজাকারের সন্তান সাংবাদিক নাদিম এমন খবর প্রকাশ করলে শাহিনা বেগমের ক্যাডার দ্বারা হামলার শিকার ও হত্যার হুমকি পান। এ সময় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ডায়েরি এবং ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান নাদিম। এরপর স্থানীয় সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। এবারও তিনি হত্যার হুমকির শিকার হন। এরপরই গত ১৪ জুন বুধবার রাত ১০টায় বকশীগঞ্জ শহরের পাটপট্টি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। হামলায় মারাত্মক আহত নাদিমকে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার ছয় দিন পরও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বকশীগঞ্জ এলাকায়। এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বিশ্বাস প্রভাবশালী কারও ইন্ধন ছাড়া মাহমুদুল আলম বাবুর মতো অজপাড়াগায়ের একজন ইউপি চেয়ারম্যান কখনই একজন সাংবাদিককে শহরের ভেতর প্রকাশ্যে খুন করতে পারেন না। তারা বলছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশই কাল হয় সাংবাদিক নাদিমের জন্য। বকশীগঞ্জে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষজন এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনার নেপথ্য ইন্ধনদাতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম। আর সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু তার একনিষ্ঠ অনুসারী।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুমান তালুকদার বলেন, ‘বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর মতো একজন অজপাড়া গায়ের চেয়ারম্যানের পক্ষে কখনই উপজেলা সদরে এসে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা সম্ভব না।’ তিনি জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘শাহিনা বেগম রাজাকারের সন্তান’ সাংবাদিক নাদিম এমন খবর পরিবেশন করায় গত কয়েক মাস আগে সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করে শাহিনা বেগমের লোকজন। সে সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তখন সাংবাদিক নাদিম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বকশীগঞ্জ থানায় জিডি করে এবং ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান।’

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজন মিয়া বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিম সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করতেন, যার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। নিহত সাংবাদিক নাদিমকে দমানোর জন্য যত ধরনের কৌশল আছে সেটা করেও তাকে দমাতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ শান্ত বলেন, বাবু চেয়ারম্যান এবং তার ছেলের পক্ষে সাংবাদিক হত্যা করা সম্ভব না।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপিত সাইদুর রহমান লাল বলেন, ‘বাবু চেয়ারম্যানের শেল্টারদাতা শাহিনা বেগম। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে সত্য উদ্ঘাটন হবেই।

তবে উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ড সংঘঠনকারীরা চিহ্নিত, আমার নাম আনা হচ্ছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে।’

নিহত নাদিমের স্বজনরা বলছেন, এজাহারভুক্ত সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবাবের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের দাবি সব আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত সম্প্রতি বকশীগঞ্জে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বলেন, ‘রাজাকার কন্যা শাহিনা বেগমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। এ খবর আমার বাবা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তার ওপর হামলা করেছিল শাহিনা বেগমের লোকজন। সে সময় আমার বাবা নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। সে সময় যদি এর বিচার করা হতো তাহলে আজ আমার বাবা হত্যাকান্ডের শিকার হতেন না। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নেপথ্য নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, এজারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাদের পুরো পরিবার নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন। তিনিও এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ‘নৃশংস এ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাঁচটি টিম কাজ করছে। গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ হত্যাকান্ডে জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে। তাদের ইন্টারগেশন করে এ হত্যাকান্ডে জড়িত যারাই থাকুক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’