ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধিঃ নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

-কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদ।

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বুধবার (২১ জুন) দুপুর পর্যন্ত উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানি, গঙ্গাধর ও সংকোষসহ সব কটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে  নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত  হলেও নদী তীরবর্তী চর ও ডুবো চর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও উপজেলার পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি,চরভুরুঙ্গামারী,ও বলদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে শাক-সবজি, পটল, মরিচ, পাট ক্ষেত সহ অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে গবাদিপশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে আসন্ন কুরবানী ঈদের গবাদিপশু বিক্রিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার চর বলদিয়া গ্রামের কৃষক বানু মিয়া বলেন, বন্যার পনি চতুরদিকে থৈথৈ করছে। পানিতে গবাদিপশুর খাবার যোগাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে গুরুর সাস্থ্য কমে যাওয়ায় সম্ভবত ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো না।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের নিনমজুর আব্দুল গনী বলেন, কয়েকদিন আগের বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর এখনো মেরামত করতে পারিনি।
ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানতে পেরেছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধিঃ নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট টাইম : ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বুধবার (২১ জুন) দুপুর পর্যন্ত উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানি, গঙ্গাধর ও সংকোষসহ সব কটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে  নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত  হলেও নদী তীরবর্তী চর ও ডুবো চর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও উপজেলার পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি,চরভুরুঙ্গামারী,ও বলদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে শাক-সবজি, পটল, মরিচ, পাট ক্ষেত সহ অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে গবাদিপশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে আসন্ন কুরবানী ঈদের গবাদিপশু বিক্রিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার চর বলদিয়া গ্রামের কৃষক বানু মিয়া বলেন, বন্যার পনি চতুরদিকে থৈথৈ করছে। পানিতে গবাদিপশুর খাবার যোগাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে গুরুর সাস্থ্য কমে যাওয়ায় সম্ভবত ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো না।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের নিনমজুর আব্দুল গনী বলেন, কয়েকদিন আগের বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর এখনো মেরামত করতে পারিনি।
ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানতে পেরেছি।

প্রিন্ট