ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মানবিক সাহায্যের আবেদন

বিরল রোগে আক্তান্ত দুই সন্তানকে বাঁচাতে চায় মা-বাবা

চোখ,নখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ফেটে গিয়ে ঝরে রক্ত। কিছুতেই গরম সহ্য করতে পারেনা, ৩-৪ মিনিট পর পর শরীরে পানি ঢালতে হয়। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হা-পা কুঁকড়ে যায়। জন্মের পাঁচ মিনিট পর থেকে শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলছে বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে জীবন।

বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে ইন্ডিয়া-ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ইন্ডিয়া ও দেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। ইন্ডিয়ার ভেলর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পূণরায় যেতে বললেও বাদ সেধেছে অর্থ। এক চা দোকানী বাবার পক্ষে সব হারিয়ে দুই সন্তানের সুচিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কিশোর নাঈম ও শিশু নূর হোসেন ফরিপুরের আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানী হাবিবুর রহমানের ও রাবেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান।বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুইটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

দুই সন্তানের পিতা চা দোকানী হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের বিবাহ হয়েছে ১৮ বছর আগে। আমাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়। এরপর আল্লাহ আমাকে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। আমার বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈমও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে এ রোগে আক্রান্ত।

বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় ৮ পারা শেষ করেছে। মেঝ মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার ৯ বছর সেও ওই মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ২০১৮ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে ইন্ডিয়া ভেলর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। এখন অর্থনৈতিক সমস্যায় রয়েছি। চা দোকান করে যা পাই তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চাই।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-

মো.হাবিবুর রহমান, হিসাব নম্বর:# ২৮০১৯২২৯৬৮০০১
সিটি ব্যাংক লিমিটেড, আলফাডাঙ্গা শাখা,ফরিদপুর।
বিকাশ নম্বর- ০১৯২৩৫২৯৯৩২

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

মানবিক সাহায্যের আবেদন

বিরল রোগে আক্তান্ত দুই সন্তানকে বাঁচাতে চায় মা-বাবা

আপডেট টাইম : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

চোখ,নখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ফেটে গিয়ে ঝরে রক্ত। কিছুতেই গরম সহ্য করতে পারেনা, ৩-৪ মিনিট পর পর শরীরে পানি ঢালতে হয়। রক্ত বের হতে থাকলে দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় হা-পা কুঁকড়ে যায়। জন্মের পাঁচ মিনিট পর থেকে শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলছে বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈম (১৪) ও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে জীবন।

বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে ইন্ডিয়া-ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগটিই শনাক্ত করা যায়নি। ইন্ডিয়া ও দেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। ইন্ডিয়ার ভেলর সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পূণরায় যেতে বললেও বাদ সেধেছে অর্থ। এক চা দোকানী বাবার পক্ষে সব হারিয়ে দুই সন্তানের সুচিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কিশোর নাঈম ও শিশু নূর হোসেন ফরিপুরের আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা দোকানী হাবিবুর রহমানের ও রাবেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান।বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুইটির সবরকম চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

দুই সন্তানের পিতা চা দোকানী হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের বিবাহ হয়েছে ১৮ বছর আগে। আমাদের প্রথম সন্তান সুরাইয়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মের ১০ মাস পর মারা যায়। এরপর আল্লাহ আমাকে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে দিয়েছেন। আমার বড় ছেলে আবির হুসাইন নাঈমও চার বছরের শিশু নূর হোসেনে এ রোগে আক্রান্ত।

বড় ছেলে ইচাপাশা হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় ৮ পারা শেষ করেছে। মেঝ মেয়ে সাদিয়া আক্তার সামিয়ার ৯ বছর সেও ওই মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ২০১৮ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে ইন্ডিয়া ভেলর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। করোনার পর ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। এখন অর্থনৈতিক সমস্যায় রয়েছি। চা দোকান করে যা পাই তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চাই।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-

মো.হাবিবুর রহমান, হিসাব নম্বর:# ২৮০১৯২২৯৬৮০০১
সিটি ব্যাংক লিমিটেড, আলফাডাঙ্গা শাখা,ফরিদপুর।
বিকাশ নম্বর- ০১৯২৩৫২৯৯৩২

 


প্রিন্ট