স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পলাশ প্রায় ২ বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতালিবের মেয়ে মৌসুমী খাতুনকে বিয়ে করে সমাজ গ্রামেই বসবাস করে আসছিলেন। সমাজ বাজারে মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পলাশসহ কয়েকজন শুক্রবার রাতে রোজিনা ওরফে সাথীকে নিয়ে সমাজ বাজারে আসে। রোজিনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে সমাজ বাজারের লোকজন হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রাত আটটার দিকে রোজিনাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ সময় সবাই সটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে সমাজ বাজারের পাশে গুমানী নদীর ক্যানেলে মাটি চাপা দেওয়া পলাশের মৃতদেহ এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য কাটা দাগ রয়েছে। কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ও আটক রোজিনা ওরফে সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু মিলেছে। দ্রুতই অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রিন্ট