ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক Logo বোয়ালমারীতে বাড়তি ভাড়া আদায় করায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে জরিমানা Logo নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৩ মামলায় আ’লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে Logo নড়াইলে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ৬ Logo মুকসুদপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এস এস সি পরীক্ষা Logo ফরিদপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বাধন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo প্রশ্ন পত্র ফাঁসে জড়িত শিক্ষক সালামের খুঁটির জোর কোথায় ? Logo পাটের জিনোম আবিষ্কারক মাকসুদুল আলমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা Logo থানায় মামলা নিতে ওসির অনীহা, পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় পরিবারের আর্তনাদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাবনার চাটমোহরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় গুমানী নদীর ক্যানেল থেকে শনিবার দুপুরে পলাশ হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত পলাশ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পলাশ প্রায় ২ বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতালিবের মেয়ে মৌসুমী খাতুনকে বিয়ে করে সমাজ গ্রামেই বসবাস করে আসছিলেন। সমাজ বাজারে মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পলাশসহ কয়েকজন শুক্রবার রাতে রোজিনা ওরফে সাথীকে নিয়ে সমাজ বাজারে আসে। রোজিনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে সমাজ বাজারের লোকজন হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রাত আটটার দিকে রোজিনাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ সময় সবাই সটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে সমাজ বাজারের পাশে গুমানী নদীর ক্যানেলে মাটি চাপা দেওয়া পলাশের মৃতদেহ  এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য কাটা দাগ রয়েছে। কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ও আটক রোজিনা ওরফে সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু মিলেছে। দ্রুতই অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

পাবনার চাটমোহরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট টাইম : ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় গুমানী নদীর ক্যানেল থেকে শনিবার দুপুরে পলাশ হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত পলাশ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পলাশ প্রায় ২ বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতালিবের মেয়ে মৌসুমী খাতুনকে বিয়ে করে সমাজ গ্রামেই বসবাস করে আসছিলেন। সমাজ বাজারে মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পলাশসহ কয়েকজন শুক্রবার রাতে রোজিনা ওরফে সাথীকে নিয়ে সমাজ বাজারে আসে। রোজিনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে সমাজ বাজারের লোকজন হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রাত আটটার দিকে রোজিনাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ সময় সবাই সটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে সমাজ বাজারের পাশে গুমানী নদীর ক্যানেলে মাটি চাপা দেওয়া পলাশের মৃতদেহ  এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য কাটা দাগ রয়েছে। কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ও আটক রোজিনা ওরফে সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু মিলেছে। দ্রুতই অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


প্রিন্ট