পাবনার চাটমোহরে বিধবা নারী যমুনা রানী সরকার (৫৫) কে হত্যার ঘটনার ক্লু উদঘাটন করেছে পুলিশ।
মাদকাসক্ত ছেলে স্বপন কুমার সরকার (২৭) তার মা যমুনা রানী সরকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মাদকাসক্ত স্বপন মায়ের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে টাকা না পেয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ছেলে স্বপন কুমার সরকার। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে বাড়ির পাশের বাগান থেকে যমুনা রানী সরকারের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত যমুনা রানী সরকার পৌর শহরের দোলং মহল্লার মৃত গোসাই সরকারের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের জমজ দুই ছেলে স্বপন সরকার ও রতন সরকার কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। রাতেই নিহতের মেয়ে সরস্বতী রানী কুন্ডু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন স্বীকার করে সে তার মাকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশের বাগানে গিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে। কিন্তু সেটা করতে না পেরে গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে রেখে চলে আসে। সকালে প্রতিবেশীরা যমুনা রানীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন সরকার তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে বিজ্ঞ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর ছেলে রতনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্থানীয় ডাকঘরে তার বেশ কিছু টাকা গচ্ছিত রয়েছে। তাছাড়া তার ছেলে স্বপন মাঝে মধ্যে মারধর করতো। স্বপন চিহ্নিত মাদকসেবী। ইতোপূর্বে মাদক মামলায় জেল খেটেছে। আরেক ছেলে রতন সরকার মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়ে বাড়ির পাশেই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে।
প্রিন্ট