ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক Logo নাটোরের বাগাতিপাড়া বাউয়েট এর নতুন রেজিস্ট্রার শেখ সানি মোহাম্মদ তালহা Logo বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিক নিয়ে কার্গো জাহাজডুবি Logo দ্বীপ হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’ Logo কালুখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেনের উঠান বৈঠক Logo গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ শামীম আহম্মেদ সাগর Logo ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo বোয়ালমারীতে স্বস্তির বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জাল সনদে চাকরি করে বেতন উত্তোলন, কুষ্টিয়ার ৭ শিক্ষকের কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশ

জাল সনদে কুষ্টিয়ার সাতজন শিক্ষক বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রায় কোটি টাকা সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করে যারা স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর যাচাই-বাছাই করে সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত করেছে। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দফতর প্রধান প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাইপূর্বক ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জাল সনদধারী শিক্ষকের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৭ জন শিক্ষক সরকারের ৯৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭২ টাকা অবৈধভাবে বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন।

এরমধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দিনমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) কাজী জাকিয়া সুলতানা ২০ লাখ ৮৩ হাজার ১০৬ টাকা, দহকুলা মহম্মদশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মিরাজ আলী ২২ লাখ ২৮ হাজার ১৪৩ টাকা, কুমারখালী উপজেলার নাতুরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ইদ্রিস আলী ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯২ টাকা, বুজরুখ বাখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) টিপু সুলতান ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৫ টাকা, দৌলতপুর উপজেলার খাসমথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) এস এম তুহিনুজ্জামান ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৫ টাকা, ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাকটর শাহিনা খাতুন ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৫ টাকা ও আব্দুল হক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মুসলিমা খাতুন ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৬ টাকা ভোগ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় জাল সনদধারী ৭ শিক্ষকের ৬ জন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ন্যায় পাঠদান চালু রেখেছেন। এছাড়া বুজরুখ বাখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) টিপু সুলতান অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্বেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জাল সনদধারী শিক্ষকদের অফিস আদেশ এখনো পাইনি। আদেশের পর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

জাল সনদে চাকরি করে বেতন উত্তোলন, কুষ্টিয়ার ৭ শিক্ষকের কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

জাল সনদে কুষ্টিয়ার সাতজন শিক্ষক বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রায় কোটি টাকা সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করে যারা স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর যাচাই-বাছাই করে সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত করেছে। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দফতর প্রধান প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাইপূর্বক ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জাল সনদধারী শিক্ষকের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৭ জন শিক্ষক সরকারের ৯৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭২ টাকা অবৈধভাবে বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন।

এরমধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দিনমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) কাজী জাকিয়া সুলতানা ২০ লাখ ৮৩ হাজার ১০৬ টাকা, দহকুলা মহম্মদশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মিরাজ আলী ২২ লাখ ২৮ হাজার ১৪৩ টাকা, কুমারখালী উপজেলার নাতুরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ইদ্রিস আলী ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯২ টাকা, বুজরুখ বাখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) টিপু সুলতান ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৫ টাকা, দৌলতপুর উপজেলার খাসমথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) এস এম তুহিনুজ্জামান ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৫ টাকা, ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাকটর শাহিনা খাতুন ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৫ টাকা ও আব্দুল হক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মুসলিমা খাতুন ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৬ টাকা ভোগ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় জাল সনদধারী ৭ শিক্ষকের ৬ জন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ন্যায় পাঠদান চালু রেখেছেন। এছাড়া বুজরুখ বাখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) টিপু সুলতান অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্বেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জাল সনদধারী শিক্ষকদের অফিস আদেশ এখনো পাইনি। আদেশের পর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।