গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪৮০টির কেন্দ্রের সব কটির ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তিনি ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র।
টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। ফল ঘোষণার সময় মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। মায়ের বিজয়ের পর জাহাঙ্গীর আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিজয় কেবল তার নয়, নগরবাসীর।
গৃহিণী থেকে চমক সৃষ্টি করে মেয়র জায়েদা খাতুন
জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।
মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পূর্বে রাজনীতি বা সামাজিক কোন ক্ষেত্রে তার নাম শোনা যায় নি। তবে এলাকায় তিনি জনদরদি হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে এবং শিক্ষার্থীসহ গরিব-দুঃখী মানুষকে বরাবরই আর্থিক সহায়তা করেন।
তিনি পূর্বে নির্বাচন তো দূরের কথা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি। তার সম্বন্ধে বলা যায় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি ক্রমশ পরিচিতি অর্জন এবং নির্বাচন ও রাজনীতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। এভাবেই তিনি এবারের মেয়র পদের নির্বাচনে তার অবস্থান অনেকটাই সুসংহত ও পাকাপোক্ত করে তুলেছেন।
তাকে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ধারণা তিনি অপরিচিতির বেড়া ভেঙে যেমন পরিচিতি লাভ করেছেন তেমনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধী হিসেবেও শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছেন।
প্রিন্ট