মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের শিয়ালজুড়ি গ্রামের ভূমিহীন গফফার মোল্যার ৩ শতক বাড়ির জমি দখলের পায়তারা করছে মোহাম্মাদ আলী। গত সোমবার ২২ মে বিকাল ৫ টার সময় শিয়ালজুড়ি গ্রামের ভূমিহীন গফফার মোল্যার সাথে সরাসরি কথা হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
শিয়ালজুড়ি গ্রামের মৃত সালাম মোল্যার ছেলে গফফার মোল্যা দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানান ৩ শতক জমিতে ২৮ বছর যাবৎ ৩ ছেলে, ৩ পুত্রবধু, ১ তালাকপ্রাপ্ত কন্যা ও ১ প্রতিবন্ধী নাতী ছেলে এবং অসুস্থ ২ নাতী ছেলে নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিছু দিন পূর্বে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর ভেঙ্গে যায়, ঘর মেরামতের সময় পাশের শরীক মোকছেদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মাদ আলী বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে।
সে জীবননাশের হুমকি দিয়ে গফফার মোল্লাকে বলে বাড়ি না ছাড়লে সবাইকে প্রাণে মেরে দিবো। গফফার মোল্যার জমির দলিলের ফটোকপিতে দেখা যায় সাবেক ৪০৫ নং হাল জরিপের ৭৬১ নং দাগে ২৭ শতকের মধ্যে থেকে ৩ শতক জমি, ৪০৬ নং হাল জরিপের ৭৯৬ নং দাগের ১৭ শতক জমির মধ্যে থেকে ৪ শতক মোট ৭ শতক জমি বিক্রি করে মোহাম্মাদ আলীর কাছে গত ৯ ডিসেম্বর ২০০১ সালে। আর গফফার মোল্যা ৭৯৬ দাগের ১৭ শতকের মধ্যে থেকে ৩ শতক জমির ভোগ দখলে মালিক হয়ে বসবাস করছে।
জমির আসল দলিল গুলো সবই মোহাম্মাদ আলীর কাছে আছে। আবার মোহাম্মাদ আলী প্রতারণা করে বাদী হয়ে গত ২ এপ্রিল ২০২৩ সালে এই গফফার মোল্যার ৩ শতক জমিতে ফৌজদারি কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারা জারী করেছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন, গফফার মোল্যা ৩ শতক জমিতে ভোগ দখলীয় জায়গায় পশ্চিম পাশ হতে মধ্যে দিকে ৪২ বছর ধরে বাপের আমল থেকে ভোগ দখল করে বসবাস করতেছে। হঠাৎ করে মোহাম্মাদ আলীর এমন আচরণে এলাকাবাসীর সচেতন মহলের লোকজন তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছেন এবং সচেতন মহলের লোকজন আইনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সমাধান চান।
প্রিন্ট