ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ শিক্ষার্থী অপহ্রতঃ মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত Logo নড়াইলের লোহাগড়ার কাউলিডাঙ্গা বিলে যুবক খুন Logo গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মহোদয়ের দিনাজপুর জেলায় আগমন Logo নানান নাটকীয়তার পর ভোরে আ.লীগ নেত্রী আইভি গ্রেফতার Logo তানোরে ফসলী জমি হ্রাস খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে আইনজীবীর গলিত মরদেহ উদ্ধার Logo বোয়ালমারীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা Logo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ Logo বাল্যবিবাহ ও মাদক সমাজের ভয়ংকর ব্যাধিঃ -ইউএনও ফয়সাল আহমেদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এসময় ওই যুবককে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়।
আজ মঙ্গলবার   দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত  ওই ব্যাক্তির  নাম মো. হারুন শেখ (৩৩)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে  ২০২০  সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আলফাডাঙ্গার পাচুড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটের পাশে স্লাবের উপর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে চড় থাপ্পর মেরে ও ভয় দেখিয়ে  ধর্ষণ করে হারুণ নামের ওই যুবক। পরে ধর্ষণের এই দৃশ্য তিনি মুঠোফোনে ধারণ করে শিশুটিকে হুমকি দিয়ে বলেন, এ  ঘটনার কথা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।
এঘটনায়  ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফির অভিযোগে মো. হারুন শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম। পরে একই থানার উপ-পরিদর্শক  মো. মিজানুর রহমান ২০২১ সালের ২৮ জুন আদালতে হারুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় এ রায় প্রদান করা হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা শিশুটিকে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ শিক্ষার্থী অপহ্রতঃ মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এসময় ওই যুবককে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়।
আজ মঙ্গলবার   দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত  ওই ব্যাক্তির  নাম মো. হারুন শেখ (৩৩)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে  ২০২০  সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আলফাডাঙ্গার পাচুড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটের পাশে স্লাবের উপর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে চড় থাপ্পর মেরে ও ভয় দেখিয়ে  ধর্ষণ করে হারুণ নামের ওই যুবক। পরে ধর্ষণের এই দৃশ্য তিনি মুঠোফোনে ধারণ করে শিশুটিকে হুমকি দিয়ে বলেন, এ  ঘটনার কথা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।
এঘটনায়  ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফির অভিযোগে মো. হারুন শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম। পরে একই থানার উপ-পরিদর্শক  মো. মিজানুর রহমান ২০২১ সালের ২৮ জুন আদালতে হারুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় এ রায় প্রদান করা হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা শিশুটিকে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে।

প্রিন্ট