ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাজার ‘সিন্ডিকেটের দখলে’

কুষ্টিয়ায় এ বছর হতাশায় ভুগছেন পেঁয়াজ চাষিরা। যে আশা নিয়ে মাঠে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন, সে আশা জলে গিয়েছে। অধিকাংশ চাষি এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।

অথচ কয়েক দিন ধরেই বাজারে পেঁয়াজের দর ঊর্ধ্বমুখী। গত সাত দিনের ব্যবধানে কুষ্টিয়ার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা এবং এক মাসের মধ্যে দফায় দফায় বেড়ে প্রায় তিন গুনে ঠেকেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা হতে হবে। মালের সরবরাহও আছে। মূলত পাইকার ও আড়তদারদের কারসাজিতেই এমন আকাশচুম্বী পেঁয়াজের দাম।

খলিসাকুন্ডি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সলেমান খাজা জানান, দেশি পেঁয়াজ গত মাসে বিক্রি করেছি ২৫-৩০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ৫০-৫২ টাকা আজকে হঠাৎ করে আড়তেই পেঁয়াজের কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজারের খুচরা বিক্রেতা মওলা বিশ্বাস বলেন, মাঠ থেকে পেঁয়াজ তোলার পর নিজের সংসারের প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেখে বাকিটা পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে সবাই। এখন চাষিদের কাছে পেঁয়াজ নেই। বাজারে যে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে তা মূলত দেশের বিভিন্ন আড়ত ও মজুতদারদের কাছ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছি। এখন পেঁয়াজের বাজার সব বড় এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে।

তিনি আরো জানান, পেঁয়াজের যে খুব বেশি চাহিদা তা কিন্তু না। আমাদের এলাকায় যে পেঁয়াজ হয় তা চাষিরা তাড়াতাড়ি বিক্রি করে দেয়, কারণ সংরক্ষণ করতে পারে না। এ জন্য এখন বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খলিসাকুন্ডি এলাকার চাষি ইংরাজ মন্ডল জানান, এ বছর আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। এক বিঘা জমিতে আমি ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি। পেঁয়াজ পেয়েছি ৬০ মন। প্রতি মন ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা হয়েছে। বিঘায় আমার ৮ হাজার টাকার মতো লস হয়েছে। মূলত চাষিরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম পায় না। ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি পেঁয়াজ আমি এখন দাম ৭০-৮০। তাহলে আমরা কীভাবে কী করব?

মিরপুর উপজেলার ক্ষুদ্র পেঁয়াজ চাষি সোহেল রানা জানান, প্রতিবছরই ৫ কাঠা জমিতে করে পেঁয়াজ চাষ করি। সেখান থেকে নিজেদের খাওয়া হয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হয়। গত বছর ৫ কাঠা জমি থেকে আমি ৭ মণ পেঁয়াজ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার পেয়েছি মাত্র ১২ কেজি।

একই উপজেলার পোড়াদহ এলাকার চাষি আনন্দ জানান, আমি এবার তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করি। কিন্তু পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়নি। যেখানে ২০০ মণ পেঁয়াজের আশা করেছিলাম সেখানে মাত্র ৭০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। যাতে আমার জমির খরচই ওঠেনি।

কুমারখালী উপজেলার কৃষক ইন্তাজ আলী জানান, জমি, বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও পরিবহন দিয়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজে খরচ হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। কিন্তু আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে ১৫-২০ টাকায়। বড় বড় মজুতদাররা কৌশলে চাষিদের কাছ থেকে সব পেঁয়াজ গোডাউনে ঢুকিয়ে ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে। এবার পেঁয়াজ ভালো হয়নি এই এলাকায়। অধিকাংশ চাষিই উৎপাদন খরচের তুলনায় কমদামে বিক্রি করায় লোকসান হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলায় ১২ হাজার ১ শ ৩১ হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমে পেঁয়াজের চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার ২ শ ৮৫ হেক্টর জমিতে মূলকাটা এবং ৮ হাজার ৮ শ ৪৬ হেক্টর জমিতে চারা। মূলকাটা পেঁয়াজের মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৯৯ হেক্টর জমিতে। এবং চারা পেঁয়াজে কুমারখালী উপজেলায় ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।

চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৬শ ৪ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হয়েছে। তবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এ জেলায় ১২ হাজার ৯শ ১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সে সময় অর্জিত হয়েছিল ১৩ হাজার ৭শ ৩৪ হেক্টর জমিতে।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদ জানান, আমরা প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের বিনা মূল্যে পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। তবে এবার তাপমাত্রার কারণে কিছু এলাকায় পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চাষি পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা মাঠ থেকে তুলেই বাজারে বিক্রি করায় দাম কম পায়। তবে কৃষকরা যাতে পেঁয়াজ চাষে আরো আগ্রহী হয় এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়ার বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘হঠাৎ করে যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া পেঁয়াজের বাজার দর অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগামী। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকে যাবে এবং দেশি পেঁয়াজের বাজার দর সহনীয় পর্যায়ে না আসলে সরকার হার্ড লাইনে যাবে বলে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে’।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাজার ‘সিন্ডিকেটের দখলে’

আপডেট টাইম : ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

কুষ্টিয়ায় এ বছর হতাশায় ভুগছেন পেঁয়াজ চাষিরা। যে আশা নিয়ে মাঠে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন, সে আশা জলে গিয়েছে। অধিকাংশ চাষি এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।

অথচ কয়েক দিন ধরেই বাজারে পেঁয়াজের দর ঊর্ধ্বমুখী। গত সাত দিনের ব্যবধানে কুষ্টিয়ার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা এবং এক মাসের মধ্যে দফায় দফায় বেড়ে প্রায় তিন গুনে ঠেকেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা হতে হবে। মালের সরবরাহও আছে। মূলত পাইকার ও আড়তদারদের কারসাজিতেই এমন আকাশচুম্বী পেঁয়াজের দাম।

খলিসাকুন্ডি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সলেমান খাজা জানান, দেশি পেঁয়াজ গত মাসে বিক্রি করেছি ২৫-৩০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ৫০-৫২ টাকা আজকে হঠাৎ করে আড়তেই পেঁয়াজের কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজারের খুচরা বিক্রেতা মওলা বিশ্বাস বলেন, মাঠ থেকে পেঁয়াজ তোলার পর নিজের সংসারের প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেখে বাকিটা পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে সবাই। এখন চাষিদের কাছে পেঁয়াজ নেই। বাজারে যে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে তা মূলত দেশের বিভিন্ন আড়ত ও মজুতদারদের কাছ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছি। এখন পেঁয়াজের বাজার সব বড় এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে।

তিনি আরো জানান, পেঁয়াজের যে খুব বেশি চাহিদা তা কিন্তু না। আমাদের এলাকায় যে পেঁয়াজ হয় তা চাষিরা তাড়াতাড়ি বিক্রি করে দেয়, কারণ সংরক্ষণ করতে পারে না। এ জন্য এখন বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খলিসাকুন্ডি এলাকার চাষি ইংরাজ মন্ডল জানান, এ বছর আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। এক বিঘা জমিতে আমি ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি। পেঁয়াজ পেয়েছি ৬০ মন। প্রতি মন ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা হয়েছে। বিঘায় আমার ৮ হাজার টাকার মতো লস হয়েছে। মূলত চাষিরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম পায় না। ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি পেঁয়াজ আমি এখন দাম ৭০-৮০। তাহলে আমরা কীভাবে কী করব?

মিরপুর উপজেলার ক্ষুদ্র পেঁয়াজ চাষি সোহেল রানা জানান, প্রতিবছরই ৫ কাঠা জমিতে করে পেঁয়াজ চাষ করি। সেখান থেকে নিজেদের খাওয়া হয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হয়। গত বছর ৫ কাঠা জমি থেকে আমি ৭ মণ পেঁয়াজ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার পেয়েছি মাত্র ১২ কেজি।

একই উপজেলার পোড়াদহ এলাকার চাষি আনন্দ জানান, আমি এবার তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করি। কিন্তু পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়নি। যেখানে ২০০ মণ পেঁয়াজের আশা করেছিলাম সেখানে মাত্র ৭০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। যাতে আমার জমির খরচই ওঠেনি।

কুমারখালী উপজেলার কৃষক ইন্তাজ আলী জানান, জমি, বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও পরিবহন দিয়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজে খরচ হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। কিন্তু আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে ১৫-২০ টাকায়। বড় বড় মজুতদাররা কৌশলে চাষিদের কাছ থেকে সব পেঁয়াজ গোডাউনে ঢুকিয়ে ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে। এবার পেঁয়াজ ভালো হয়নি এই এলাকায়। অধিকাংশ চাষিই উৎপাদন খরচের তুলনায় কমদামে বিক্রি করায় লোকসান হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলায় ১২ হাজার ১ শ ৩১ হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমে পেঁয়াজের চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার ২ শ ৮৫ হেক্টর জমিতে মূলকাটা এবং ৮ হাজার ৮ শ ৪৬ হেক্টর জমিতে চারা। মূলকাটা পেঁয়াজের মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৯৯ হেক্টর জমিতে। এবং চারা পেঁয়াজে কুমারখালী উপজেলায় ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।

চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৬শ ৪ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হয়েছে। তবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এ জেলায় ১২ হাজার ৯শ ১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সে সময় অর্জিত হয়েছিল ১৩ হাজার ৭শ ৩৪ হেক্টর জমিতে।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদ জানান, আমরা প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের বিনা মূল্যে পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। তবে এবার তাপমাত্রার কারণে কিছু এলাকায় পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চাষি পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা মাঠ থেকে তুলেই বাজারে বিক্রি করায় দাম কম পায়। তবে কৃষকরা যাতে পেঁয়াজ চাষে আরো আগ্রহী হয় এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়ার বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘হঠাৎ করে যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া পেঁয়াজের বাজার দর অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগামী। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকে যাবে এবং দেশি পেঁয়াজের বাজার দর সহনীয় পর্যায়ে না আসলে সরকার হার্ড লাইনে যাবে বলে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে’।