ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় কিটনাশক বিক্রেতার ভূলে দেড় বিঘা জমির ধান পুড়ে ধ্বংস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাতৈর ইউনিয়নের কাদরদী মৌজায় কাদিরদী মাঠে দেড় বিঘা জমিতে দুই মাস আগে ধান রোপণ করেন কামালদিয়া গ্রামের মোঃ মুতালেব শেখ(৬৫)।
ব্যাপক ফসলের গঠন নিয়ে দাড়িয়ে ছিল ধানের ক্ষেত। ধানের সাথে কিছু আগাছা হওয়ার কারণে তা ভেনিষ করার জন্য গত বুধবার(০৩.০৩.২১) তারিখে জেলার বৃহত্ত শিল্প নগরী কানাইপুর বাজরে মেসার্স পদ্মা এন্টারপ্রাইজ সারের দোকান থেকে এসিআই কম্পানির উইডনীল নামের একটি ঔষুধ নিয়ে প্রয়োগ করেন।
সপ্তাহ না পেরুতেই ধান ক্ষেত লাল বর্ণের হয়ে যায়। এখন তা পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষক মুতালেবের ছেলে হেমায়েত হেসেন হিমু বলেন, আমাদের ১৮০ শতাংশ ধান ক্ষেতে ছেচি নামের আগাছা হয়ে ছিল প্রচুর আকারে। আগাছা মারতে সার ব্যবসায়ী সুনিল দত্তের সাথে পরামর্শ করি। তখন তিনি আমাকে উইডনীল নামের ৫ ফাইল ঔষুধ নিয়ে প্রয়োগ করতে বলেন। পরে সে ঔষুধ ধান ক্ষেতে ছিটিয়ে দেয়।
একদিন পরেই ধান ক্ষেতের জোড় কমতে থাকে। আমি তখন সার ব্যবসায়ী সুনিল দত্তকে সব কথা খুলে বলি তখন তিনি আমাকে বলেন,ঔষুধ দিলে ধান ক্ষেত একটু লাল বর্ণের হয় এতে কোন প্রকার সমস্যা না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে সে জন্য আমি তার কথায় বিশ্বাস করে আর কারো কাছে পরামর্শ করিনি। তাই আজ আমাদের সোনার মত ধান ক্ষেত পুড়ে ধ্বংস হয়েছে।
এ ঘটনায় সব দোষ সার ব্যবসায়ীর এমনটিই অভিযোগ করেন কৃষক মুতালেবের ছেলে হেমায়েত। তিনি আরো বলেন, প্রায় ২লাক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হল ।
এসব সার ব্যবসায়ীর কারণে সাধারণ কৃষকের মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই। এ বিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে বিষয়টা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
প্রিন্ট