বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সেলন্দা গ্রামে বাধার বিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আওয়াল সেলন্দা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। আহতদের পাশর্^বর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাধার বিলের জমি নিয়ে সেলন্দা গ্রামের আমজাদ আলী গংদের সাথে একইগ্রামের মুজিবর রহমান গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমিতে চলতি মৌসুমে ধান রোপন করেন মুজিবর রহমান গং।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধপূর্ন জমিতে ধান কাটতে যান আমজাদ আলী ও তার লোকজন। এতে বাধা দেন মুজিবর রহমান ও তার লোকজন। এ সময় কথা কাটাকাটি থেকে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে টেঁটার আঘাতে মুজিবর পক্ষের আব্দুল আওয়াল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন, মুজিবর রহমান পক্ষের মুজিবর রহমান (৫০), মিঠু হোসেন (৩৮), মিরাজুল ইসলাম (২৮), সিরাজুল ইসলাম (৩০), হাসিদুল ইসলাম (৩০), হিটু প্রামানিক (২৮), লাল চাঁদ (২৫), মনিরুল ইসলাম (২৫), আশিক হোসেন (১৫), হাসিনা খাতুন (৪৫), আমজাদ পক্ষের জুলহাস প্রামানিক (৩৮), লিটন হোসেন (৩২) ও বাবলু হোসেন (৩০)। বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাদের পাশর্^বর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ওসি জানান, সুরতাহল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানান ওসি।
প্রিন্ট