কুষ্টিয়া সদরসহ ৬টি উপজেলায় সবজি ও মাছের বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। চড়া মূল্যে হাঁসফাঁস উঠছে মধ্যবিত্তসহ নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর। হাতের নাগালের বাহিরে থেকে যাচ্ছে কাঁচা বাজার।
সোমবার (১৫ মে) কুষ্টিয়ার বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সবধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুমি ৬০টাকা, সজনে ১২০ টাকা, লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৬০-৬৫ টাকা, আঁদা ২৪০-২৫০ টাকা ও রসুন ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের শাক ও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, লাল শাক ২০ টাকা আটি। পুইশাখ ৩০/৪০ টাকা কেজি।
বাজারে কাঁচাবাজার ক্রয় করতে আসা মো. আরীমদ্দীন বলেন, বাজারে কাঁচাবাজার ক্রয় করতে এসেছি। সবকিছুই দাম চড়া। প্রতিটি জিনিসের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে।
কাঁচা বাজার বিক্রেতা মমিনুল হক বলেন, আমদানি কম থাকায় পূর্বের তুলনায়ক কাঁচামালের দাম এখন বেশি। আমদানি আবারও বেশি হলে কাঁচামালের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ২৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০, চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ কিনতে আসা নূর ইসলাম বলেন, আমার কাছে সব মাছের দামই একটু বেশি মনে হয়েছে। আমি আজকে ছোট আকারের চিংড়ি মাছ কিনেছি ৮০০ টাকা কেজি দরে।
মাছ বিক্রেতা মো. রাসেল মিয়া বলেন, মাছের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছ আবাদে খরচ বেশি হচ্ছে। এতে করে অনেক ক্ষুদ্র মাছচাষি মাছ চাষ থেকে সরে আসছেন। প্রয়োজনের তুলনায় মাছ চাষ কম হওয়ায় মাছের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রিন্ট