ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন Logo বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণ অনিয়মের অভিযোগ Logo মামলার পাহাড় কমাতে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির পদক্ষেপ Logo কুষ্টিয়ায় তামাকের গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র নিহত Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা পাভেল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo নাগরপুরে সরকারি বইসহ ট্রাক জব্দ, প্রধান শিক্ষক পলাতক Logo ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে ডেকে কুপ্রস্তাব দিলেন প্রধান শিক্ষক Logo চরভদ্রাসনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীর অভিযোগ Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক পরিবারকে একঘরে Logo সদরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আসামি গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিনের মসজিদে কান্নার রোল

সময় যত যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ততই উত্তাল হচ্ছে সাগর, তীব্রতা বাড়ছে বাতাসেরও। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সেন্টমার্টিনের মসজিদে মসজিদে নামাজ শেষে মোনাজাতে বিলাপ করেছেন বহু মানুষ। সবার একটাই চাওয়া, যেন তাদের জন্মভূমি সেন্টমার্টিন টিকে থাকে।

তারা বলছেন, সেন্টমার্টিন আর আগের মতো নেই। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপটি এখন অক্ষম। নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব আছে। প্রায় ১১ হাজার মানুষের জন্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র আছে মাত্র দুটি! তাও আবার দ্বীপের উত্তরাংশে। যেখানে সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। দ্বীপের দক্ষিণাংশে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র তো দূরের কথা, দু’তলা কোনো ভবন পর্যন্ত নেই।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তায়ুব উল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দ্বীপের দক্ষিণাংশে আগে একটা গভীর বন ছিল। পাথরে ঘেরা, জঙ্গলের মাঝে উঁচু বালিয়াড়ি ছিল, এখন সেসব নেই। সুতরাং, এখন মানুষের নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেদের করা প্রয়োজন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য গতিপথ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা। কিন্তু দ্বীপে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। নেই টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ পাথরের বাঁধ নড়বড়ে হয়েছে ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালের ঘূর্ণিঝড়ে। আর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে বালিয়াড়ি ও কেয়া বন। অবিবেচকের মতো কাটা হয়েছে গাছ। অনিয়ন্ত্রিত তৈরি হয়েছে স্থাপনা। সবমিলিয়ে সেন্টমার্টিন এখন আতঙ্কের জনপদ! দোয়া আর প্রার্থনা ছাড়া এখন আর কারও করার কিছু নেই!’

তায়ুব উল্লাহ লিখেছেন, ‘দ্বীপের মানুষের মনে ভয় ঢুকেছে সিত্রাং-এর সময় থেকে। সামান্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল, বড় ঘূর্ণিঝড় হলে তা যে আরও ভয়াবহ হবে সেটাই সবার ধারণা। ফলে শুক্রবার (১২ মে) জুমার নামাজের পর ইমাম সাহেব যখন মোনাজাত ধরলেন, সবাই হাউমাউ করে কান্না শুরু করেছে। চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন ছিল। মৃতের বাড়ির মতো সবার কান্না যেন মনের ভেতর থেকে মোচড় দিয়ে ওঠে। এত আতঙ্কে দ্বীপবাসীকে কখনো দেখিনি।’

‘গত তিনদিন ধরে ট্রলার, স্পিডবোট করে হাজারের ওপর মানুষ জন্মভূমি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ চলে গেছে। যারা যেতে পারেনি বা যায়নি তারা যথেষ্ট আতঙ্কে আছে সেটা বুঝলাম জুমার পর মোনাজাতে’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন

error: Content is protected !!

মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিনের মসজিদে কান্নার রোল

আপডেট টাইম : ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

সময় যত যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ততই উত্তাল হচ্ছে সাগর, তীব্রতা বাড়ছে বাতাসেরও। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সেন্টমার্টিনের মসজিদে মসজিদে নামাজ শেষে মোনাজাতে বিলাপ করেছেন বহু মানুষ। সবার একটাই চাওয়া, যেন তাদের জন্মভূমি সেন্টমার্টিন টিকে থাকে।

তারা বলছেন, সেন্টমার্টিন আর আগের মতো নেই। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপটি এখন অক্ষম। নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব আছে। প্রায় ১১ হাজার মানুষের জন্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র আছে মাত্র দুটি! তাও আবার দ্বীপের উত্তরাংশে। যেখানে সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। দ্বীপের দক্ষিণাংশে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র তো দূরের কথা, দু’তলা কোনো ভবন পর্যন্ত নেই।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তায়ুব উল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দ্বীপের দক্ষিণাংশে আগে একটা গভীর বন ছিল। পাথরে ঘেরা, জঙ্গলের মাঝে উঁচু বালিয়াড়ি ছিল, এখন সেসব নেই। সুতরাং, এখন মানুষের নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেদের করা প্রয়োজন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য গতিপথ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা। কিন্তু দ্বীপে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। নেই টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ পাথরের বাঁধ নড়বড়ে হয়েছে ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালের ঘূর্ণিঝড়ে। আর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে বালিয়াড়ি ও কেয়া বন। অবিবেচকের মতো কাটা হয়েছে গাছ। অনিয়ন্ত্রিত তৈরি হয়েছে স্থাপনা। সবমিলিয়ে সেন্টমার্টিন এখন আতঙ্কের জনপদ! দোয়া আর প্রার্থনা ছাড়া এখন আর কারও করার কিছু নেই!’

তায়ুব উল্লাহ লিখেছেন, ‘দ্বীপের মানুষের মনে ভয় ঢুকেছে সিত্রাং-এর সময় থেকে। সামান্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল, বড় ঘূর্ণিঝড় হলে তা যে আরও ভয়াবহ হবে সেটাই সবার ধারণা। ফলে শুক্রবার (১২ মে) জুমার নামাজের পর ইমাম সাহেব যখন মোনাজাত ধরলেন, সবাই হাউমাউ করে কান্না শুরু করেছে। চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন ছিল। মৃতের বাড়ির মতো সবার কান্না যেন মনের ভেতর থেকে মোচড় দিয়ে ওঠে। এত আতঙ্কে দ্বীপবাসীকে কখনো দেখিনি।’

‘গত তিনদিন ধরে ট্রলার, স্পিডবোট করে হাজারের ওপর মানুষ জন্মভূমি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ চলে গেছে। যারা যেতে পারেনি বা যায়নি তারা যথেষ্ট আতঙ্কে আছে সেটা বুঝলাম জুমার পর মোনাজাতে’


প্রিন্ট