দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে রোববার (১৪ মে) আঘাত হানবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন আঘাত হানবে তখন এটির প্রভাবে উপকূলে প্রচন্ড বেগে বাতাস বইবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন উপকূলবাসী।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় হতে দেখা যায়। গত ১৫-১৬ বছরের মধ্যে দেশ দু’টিতে ছোট-বড় অসংখ্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল সুপার সাইক্লোন সিডর ও নার্গিস।
২০০৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তাণ্ডব চালায় সিডর। ওই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রাণ হারান ৩ হাজার মানুষ। এছাড়া এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ফসল ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অপরদিকে ২০০৮ সালে মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় নার্গিস। এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়ে যেন সাধারণ মানুষ প্রাণ না হারান সেজন্য দু’টি দেশেই ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপকূলের কাছে বসবাসরতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘাতেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের একটি দলকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যদেরও। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত উঠতে পারে।
প্রিন্ট