ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন Logo কুষ্টিয়ার সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo যশোরের মণিরামপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সভাপতি হলেন লিটন মোড়ল Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় পার্টনার কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদীতে কালী কুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ Logo লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিম আর নেই Logo লালপুরে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে গাঁজা বিক্রিকালে মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা Logo কালাইয়ে অটোভ্যানের সোকাব ভেঙ্গে চালক নিহত Logo টেকনোলজির উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সন্নিকটে মোখাঃ এর আগে যে দুটি ঝড়ে তছনছ হয়েছিল বাংলাদেশ-মিয়ানমার

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে রোববার (১৪ মে) আঘাত হানবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন আঘাত হানবে তখন এটির প্রভাবে উপকূলে প্রচন্ড বেগে বাতাস বইবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন উপকূলবাসী।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় হতে দেখা যায়। গত ১৫-১৬ বছরের মধ্যে দেশ দু’টিতে ছোট-বড় অসংখ্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল সুপার সাইক্লোন সিডর ও নার্গিস।

২০০৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তাণ্ডব চালায় সিডর। ওই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রাণ হারান ৩ হাজার মানুষ। এছাড়া এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ফসল ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

অপরদিকে ২০০৮ সালে মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় নার্গিস। এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়ে যেন সাধারণ মানুষ প্রাণ না হারান সেজন্য দু’টি দেশেই ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপকূলের কাছে বসবাসরতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘাতেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের একটি দলকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যদেরও। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত উঠতে পারে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

error: Content is protected !!

সন্নিকটে মোখাঃ এর আগে যে দুটি ঝড়ে তছনছ হয়েছিল বাংলাদেশ-মিয়ানমার

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে রোববার (১৪ মে) আঘাত হানবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন আঘাত হানবে তখন এটির প্রভাবে উপকূলে প্রচন্ড বেগে বাতাস বইবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন উপকূলবাসী।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় হতে দেখা যায়। গত ১৫-১৬ বছরের মধ্যে দেশ দু’টিতে ছোট-বড় অসংখ্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল সুপার সাইক্লোন সিডর ও নার্গিস।

২০০৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তাণ্ডব চালায় সিডর। ওই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রাণ হারান ৩ হাজার মানুষ। এছাড়া এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ফসল ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

অপরদিকে ২০০৮ সালে মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় নার্গিস। এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়ে যেন সাধারণ মানুষ প্রাণ না হারান সেজন্য দু’টি দেশেই ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপকূলের কাছে বসবাসরতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘাতেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের একটি দলকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যদেরও। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত উঠতে পারে।


প্রিন্ট