ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গাজীপুরে বাসায় ঢুকে ছাত্রী হত্যাঃ প্রধান আসামি শিক্ষক গ্রেপ্তার

গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা ও তার মা-বোনদের জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার(১০ মে) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের একটি দল।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার(১১ মে) দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনার শ্রীমতি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ সালনা বাজারে আরএফএল প্লাস্টিকের শো-রুমে চাকরি করেন। যার কারণে সপরিবারে তিনি সালনা এলাকায় বসবাস করতেন। তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ২০২০ সালে জয়দেবপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। আবদুর রউফ ছোট দুই মেয়ে খাদিজা (১৫) ও জান্নাতকে (১৩) কোরআন শেখানোর জন্য সাইদুল ইসলামকে গৃহ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

সাইদুল ইসলাম তার ছোট দুই মেয়েকে পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তারের দিকে কু-নজর পড়ে। কিছু দিন পরে সাইদুল রাবেয়াকে বিয়ে করার জন্য তাদের কাছে প্রস্তাব দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে সাইদুল ক্ষীপ্ত হয়ে বড় মেয়ে রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে বিয়ে করার জন্য ফুঁসলাতে থাকেন। তার খারাপ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজন তাকে বাসায় এসে পড়াতে নিষেধ করেন।

এতে সাইদুল ক্ষীপ্ত হয়ে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ঢুকে রাবেয়া আক্তারকে ছুরি দিয়ে মাথায়, গলায়, হাতে, পায়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। তার চিৎকারে মা ও বোনেরা গিয়ে বাধা দিলে সাইদুল ছুরি দিয়ে তাদেরকেও আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয়রা শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে  তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তার মা ইনসুরেত নেছা। আহত হয়েছে ছোট তিন বোন। এ ঘটনায় রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ সেলিম রেজা

error: Content is protected !!

গাজীপুরে বাসায় ঢুকে ছাত্রী হত্যাঃ প্রধান আসামি শিক্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা ও তার মা-বোনদের জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার(১০ মে) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের একটি দল।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার(১১ মে) দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনার শ্রীমতি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ সালনা বাজারে আরএফএল প্লাস্টিকের শো-রুমে চাকরি করেন। যার কারণে সপরিবারে তিনি সালনা এলাকায় বসবাস করতেন। তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ২০২০ সালে জয়দেবপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। আবদুর রউফ ছোট দুই মেয়ে খাদিজা (১৫) ও জান্নাতকে (১৩) কোরআন শেখানোর জন্য সাইদুল ইসলামকে গৃহ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

সাইদুল ইসলাম তার ছোট দুই মেয়েকে পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তারের দিকে কু-নজর পড়ে। কিছু দিন পরে সাইদুল রাবেয়াকে বিয়ে করার জন্য তাদের কাছে প্রস্তাব দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে সাইদুল ক্ষীপ্ত হয়ে বড় মেয়ে রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে বিয়ে করার জন্য ফুঁসলাতে থাকেন। তার খারাপ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজন তাকে বাসায় এসে পড়াতে নিষেধ করেন।

এতে সাইদুল ক্ষীপ্ত হয়ে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ঢুকে রাবেয়া আক্তারকে ছুরি দিয়ে মাথায়, গলায়, হাতে, পায়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। তার চিৎকারে মা ও বোনেরা গিয়ে বাধা দিলে সাইদুল ছুরি দিয়ে তাদেরকেও আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয়রা শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে  তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তার মা ইনসুরেত নেছা। আহত হয়েছে ছোট তিন বোন। এ ঘটনায় রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।