গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা (জিএম) স্যারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ৮ মে (সোমবার) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষ করার পর পুলিশের একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিষয়টি শিক্ষক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী (সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা) রুবাইয়া ইয়াসমীন দৈনিক সময়ের প্রত্যশার গোপালগঞ্জ প্রধানকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বর্ণনা ও ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৭ মে (রবিবার) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে খাতা দেখার নাম করে শহরের চর-সোনাকুড় নিজ বাসার নীচ তলায় ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর সোমবার (৮ মে) ওই শিক্ষার্থীর মা ফজিলাতুন্নেসা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার নম্বর- ১৩ তারিখ- ৮/০৫/২৩।
অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কাশিয়ানী উপজেলার বেথুরি ইউনিয়নের ঢিলাইল গ্ৰামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ সহরের ৩৫০/২ নবীন বাগ মহল্লার নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। এছাড়াও তিনি গোপালগঞ্জ জেলার স্কাউটের জেলা প্রধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, সোমবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে জিএম গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে আজ মঙ্গলবার (৯মে) আদালতে মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রিন্ট