ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্ভোধন ন্যাশনাল হাসপাতালের Logo আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে জিহ্বা কর্তনের দুইদিনের মাথায় বৃদ্ধের মৃত্যু Logo মুকসুদপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩ জন বহিষ্কার Logo জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈশাখী মেলা ও বাংলা বর্ষবরণে ১৪৩২ Logo মধুখালীতে তরমুজ বোঝাই ট্রাক উল্টে চালক-হেলপার নিহত Logo দৈনিক প্রথম কথা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেইঃ -টিউলিপ Logo ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে চালকের সহকারীসহ বাস উধাও Logo শেখ হাসিনা একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেনঃ- অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অন্ধত্ব যার জীবনের অভিশাপ

১৬ বছরে সংসার ভেঙ্গে স্ত্রী হলো পর -শহিদুল ইসলাম

-ছবিঃ প্রতীকী।

ঘুনেধরা এ সমাজে হরহামেশা ঘটে চলা বিবাহ বিচ্ছেদ, স্ত্রী বা স্বামীর পরকিয়া, অথবা পারিবারিক ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসার ভাঙ্গা এখন তুচ্ছতাচ্ছিল্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরণের ঘটনা এখন এ সমাজের গা সয়া হয়ে উঠেছে, কিছু কিছু ঘটনা মনে দাগ কেটে যায়, যখন একজন অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহায় সম্বলহীন হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে থানা কোর্টকাচারী দারস্থ হয়ে ঘুরছে।

স্থানীয় থানা গুলোতে আসলে এ সকল বিষয়ে বিশেষ কিছু করার থাকেনা, বড় জোর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাদি বিবাদের অবিভাবকদের সমন্বয়ে মিলমিশ করিয়ে দেওয়া, নতুবা মামলা রুজু করে আসামি গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা, বিচারের দায় দায়িত্ব বিচারকের, তাও বেশ দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়ার হয়ে থাকে, তাতে বাদি বিবাদী উভয়েরই দফারফা সারা।

আজ এমন একজনের কথা লিখতে হচ্ছে যে একসময়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলো না, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ অন্ধত্বে পরিনত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলার শহীদনগর ইউনিয়নে ছাগলদী মধ্যে পাড়ার শহিদুজ্জামান(সুজাত) দৃষ্টি ভালো থাকার সময়ে বিবাহ করে মাদারীপুর জেলার অন্তগত শিবচরের থানার হাওলাদার কান্দি গ্রামের আঃ করিম হাওলাদার এর মেয়ে সাফিয়া আক্তার (৩৫) কে।

বিয়ের তিন বছর পর থেকেই স্বামী সুজাতের দৃষ্টি শক্তি হারাতে থাকে ইতিমধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তাদের ঘরে, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে জায়গাজমি সহ নিজের প্রায় সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ে, তার মধ্যেও কখনও স্ত্রী সন্তানকে অর্থিক অভাব অনটন ছায়া পড়তে দেয় নাই। অথচ ১৬ বছর পরে তাকে ফেলে রক্ষিত টাকা পয়সা ও অলংকার নিয়ে প্রায় ৯ মাস যাবত বাবার বাড়িতে চলে যায়। ছেলের পরিবারের মুরব্বি পর্যায়ের ব্যাক্তিরা একধিকবার সালিশ দরবারেও বিহিত না হওয়ার থানা কোর্ট কাচারিতে মামলা করতে হয়েছে প্রতিবন্ধী সুজাতকে। স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পাওয়ার আশা নিয়ে এখন কোর্টকাচারীতে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বেচে আছে। জানিনা বিচারে কি হবে! একেই বলে বুঝি বিচারের বানী নাকি নিভৃতে কাঁদে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্ভোধন ন্যাশনাল হাসপাতালের

error: Content is protected !!

অন্ধত্ব যার জীবনের অভিশাপ

১৬ বছরে সংসার ভেঙ্গে স্ত্রী হলো পর -শহিদুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টার, নগরকান্দা :

ঘুনেধরা এ সমাজে হরহামেশা ঘটে চলা বিবাহ বিচ্ছেদ, স্ত্রী বা স্বামীর পরকিয়া, অথবা পারিবারিক ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসার ভাঙ্গা এখন তুচ্ছতাচ্ছিল্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরণের ঘটনা এখন এ সমাজের গা সয়া হয়ে উঠেছে, কিছু কিছু ঘটনা মনে দাগ কেটে যায়, যখন একজন অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহায় সম্বলহীন হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে থানা কোর্টকাচারী দারস্থ হয়ে ঘুরছে।

স্থানীয় থানা গুলোতে আসলে এ সকল বিষয়ে বিশেষ কিছু করার থাকেনা, বড় জোর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাদি বিবাদের অবিভাবকদের সমন্বয়ে মিলমিশ করিয়ে দেওয়া, নতুবা মামলা রুজু করে আসামি গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা, বিচারের দায় দায়িত্ব বিচারকের, তাও বেশ দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়ার হয়ে থাকে, তাতে বাদি বিবাদী উভয়েরই দফারফা সারা।

আজ এমন একজনের কথা লিখতে হচ্ছে যে একসময়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলো না, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ অন্ধত্বে পরিনত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলার শহীদনগর ইউনিয়নে ছাগলদী মধ্যে পাড়ার শহিদুজ্জামান(সুজাত) দৃষ্টি ভালো থাকার সময়ে বিবাহ করে মাদারীপুর জেলার অন্তগত শিবচরের থানার হাওলাদার কান্দি গ্রামের আঃ করিম হাওলাদার এর মেয়ে সাফিয়া আক্তার (৩৫) কে।

বিয়ের তিন বছর পর থেকেই স্বামী সুজাতের দৃষ্টি শক্তি হারাতে থাকে ইতিমধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তাদের ঘরে, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে জায়গাজমি সহ নিজের প্রায় সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ে, তার মধ্যেও কখনও স্ত্রী সন্তানকে অর্থিক অভাব অনটন ছায়া পড়তে দেয় নাই। অথচ ১৬ বছর পরে তাকে ফেলে রক্ষিত টাকা পয়সা ও অলংকার নিয়ে প্রায় ৯ মাস যাবত বাবার বাড়িতে চলে যায়। ছেলের পরিবারের মুরব্বি পর্যায়ের ব্যাক্তিরা একধিকবার সালিশ দরবারেও বিহিত না হওয়ার থানা কোর্ট কাচারিতে মামলা করতে হয়েছে প্রতিবন্ধী সুজাতকে। স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পাওয়ার আশা নিয়ে এখন কোর্টকাচারীতে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বেচে আছে। জানিনা বিচারে কি হবে! একেই বলে বুঝি বিচারের বানী নাকি নিভৃতে কাঁদে।


প্রিন্ট