ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিল আটক Logo উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি জোরালো করার দাবী Logo বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্বাস্থ্য কামনায় দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ Logo তানোরে পথচারীদের মাঝে ছাতা ও খাবার বিতরণ Logo সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ Logo গোমস্তাপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ Logo ফরিদপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ভেড়ামারা সাংবাদিক কন্যা আসমাউল জান্নাত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন Logo তানোরে রাব্বানী-মামুন একট্টা জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রবৃদ্ধিতে ভারত-চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

আইএমএফের প্রতিবেদন

-প্রতীকী ছবি।

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন প্রতিবেদনটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলংকার কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ। যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিল আটক

error: Content is protected !!

প্রবৃদ্ধিতে ভারত-চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন প্রতিবেদনটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলংকার কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ। যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।