মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের দোরাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা সোনাতুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মানের জায়গায় অবস্থিত গাছগুলো নেগোসিয়েশন (আপোস-আলোচনা) সিন্ডিকেটের যোগসাজশে নিলামের মাধ্যমে কম মূল্য বিক্রি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২ মে সকাল ১০-১২ টার সময় দোরাননগর ও নোহাটা সোনাতুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কথিত সাংবাদিক এর যোগসাজশে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের দ্বারা গাছগুলো উপযুক্ত বাজার মূল্য থেকে কম মূল্য নিলাম করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় দোরাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ টি মেহগনির গাছের বর্তমান বাজার মূল্য অনুমান ৭-৮ লাখ টাকা এবং নোহাটা সোনাতুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ টি গাছের মূল্য অনুমান ৩ লাখ টাকা। সেখানে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের যোগসাজশে দুই বিদ্যালয়ে মনজু শেখ দোরাননগরে ১০ টি বড় মেহগনি গাছ ১ লাখ ৮ হাজার টাকা ও নোহাটা সোনাতুন্দীর ৭ টি গাছের মধ্যে ৫ টি কাঠাল গাছ ও ২ টি শিমুল গাছ নামমাত্র মূল্য ৩৮ হাজার টাকায় নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেছে।
কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খান জানান আমার ইউনিয়নে দোরাননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ টি বড় মেহগনি গাছ নিলাম হয়েছে কিন্তু এই নিলামের ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করে নাই। আরও শুনতে পারি প্রকৃত ভাবে নিলাম না হয়ে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে গাছগুলো দুই স্থানে একই ব্যক্তিকে নিলাম করা হয়েছে।যার প্রকৃত বাজার মূল্য থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে বলে লোকমারফৎ জানতে পেরেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শ্রীপুর (ভারপ্রাপ্ত) সবিতা রাণী ভদ্র বলেন, প্রত্যেক স্কুলে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তাদেরকে প্রচারের জন্য বলা হয়ে ছিলো; কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন গাছের দাম সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। তাছাড়া ওই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী শ্রীপুর শাফিন শোয়েব, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার জানান, নিলামের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাছাড়া দৈনিক পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ প্রসঙ্গে বলেন এটা তো পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়েছে বলে তিনি বলেন- টিওর কাছে শুনে দেখি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম সিরাজুদ্দোহা বলেন যদি বাস্তবে মনে হয় গাছগুলোর বাজার মূল্য থেকে খুবই কম মূল্যর তবে আবারও বিজ্ঞপ্তী দিতে হবে। গাছের দাম কমমূল্য হলে নিলাম কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠন করতে হবে এবং গাছের দাম যৌক্তিক না হলে আদৌও গাছ বিক্রয় করা যাবে না।
প্রিন্ট