নড়াইল প্রতিনিধি খন্দকার সাইফুলঃ হতদরিদ্রদের জন্য নির্দ্ধারিত সরকারী ১০ টাকার চাল বস্তা থেকে আত্মসাতের সময় পুলিশের কাছে হাতনাতে আটক হয়েছে ডিলার মেজবাহ-উর রহমান (৫৫) ও তার সহযোগী কালাম শেখ। সোমবার গভীর রাতে পুলিশ এদের আটক করলেও মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালত দুজন কে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, চাচুড়ী ইউনিয়নের ডিলার মেজবাহ-উর রহমান সোমবার (৮মার্চ) ১৭০ হতদরিদ্র কার্ডের অনুকুলে ১৭০ বস্তা চাল উত্তোলন করে আটলিয়া বাসষ্ঠ্যান্ডে তার দোকানে গুদামজাত করেন। রাত ১২ টার দিকে গুদাম খুলে ডিলার মেজবাহ-উর রহমান ও তার সঙ্গী আটলিয়া গ্রামের কালাম শেখ (৪২) ১১০টি চালের বস্তা খুলে প্রতি বস্তা থেকে ২ কেজি হারে ২২০ কেজি চাল সরিয়ে নেয়।
এ সময় কালিয়া থানার এএসআই উত্তম কুমার ঘোষের নেতৃত্বে একদল টহলরত পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত চালসহ তাদেরকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ডিলার ও তার সহযোগিকে কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা তার অফিসে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ডিলার মেজবাহুর রহমানকে ৪০ হাজার টাকা ও তার সহযোগী কালাম শেখকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়ে তাদের মুক্তি দেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কনি মিয়া বলেন,হাতে নাতে ধরা হয়েছে তাই এদের নামে নিয়মিত মামলা হবে,পুলিশ সেই ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে। তবে ইউএনও কারাদন্ড না দিয়ে কেন জরিমানা করলেন ঠিক বুঝলাম না।
এদিকে সরকারী চালচুরির দায়ে কেবলমাত্র জরিমানা সাজার বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,উনি অসুস্থ্য তাই তাকে জেল প্রদান করা হলো না। তবে লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য দূর্নীতিবাজ এই ডিলারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে এলাকাবাসী একাধিকবার অভিযোগ করলেও সে ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন।
প্রিন্ট