ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভোরের কাগজের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য Logo বোয়ালমারীতে অনূর্ধ্ব-১৮ কাবাডি খেলায় চ্যাম্পিয়ন চতুল ইউনিয়ন পরিষদ Logo ট্রেন বন্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহী স্টেশনে ভাংচুর চালালেন যাত্রীরা Logo কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর নাগরপুর উপজেলা শাখা কমিটি গঠন Logo রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে হামলা, গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ Logo দৌলতপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, দুই বন্ধু আহত Logo দিনাজপুর জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভা Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় হুইল চেয়ার, বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ‌ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo নলছিটিতে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo খোকসায় আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহিষ ও পাঠা বলির মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৬শ বছরের ঐতিহ্যবাহ কালী পূজার মেলা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেল সুমাইয়া

-পরিক্ষা কেন্দ্রে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ি দাখিল মাদরাসার ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার।

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে প্রবেশপত্র মিলেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ি দাখিল মাদরাসার ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের। সকালেই তার হাতে প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয় উপজেলা প্রশাসন। পরে সে কালান্দিগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

জানা যায়, তিন মাস আগে নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণের ২৫০০ টাকা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সুমাইয়ার কাছ থেকে আদায় করে। এরপর পরীক্ষার জন্য দিন-রাত পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নেয় সুমাইয়া। শনিবার মাদরাসায় প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা। সেই প্রবেশপত্র আনতে যায় সুমাইয়া।
প্রবেশপত্রের জন্য অন্যদের মতো মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ৫০০ টাকাও দেন তিনি। প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে দেখেন যে তার নামে কোনো প্রবেশপত্রই আসেনি। পরে জানতে পারেন তার ফরম পূরণই করেনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তার বদলে ভুল করে দুই বছর আগে বিয়ে হয়ে লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়া সুরাইয়া নামের এক ছাত্রীর ফরম পূরণ করে দিয়েছেন তারা।

এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে বিষয়টি তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম রাতভর মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রাতেই বোর্ডের চেয়ারম্যান ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর গতকাল রবিবার সকালেই বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র পেয়ে দারুণ খুশি সুমাইয়া।

সুমাইয়ার বড় বোন মোর্শেদা আক্তার বলেন, যখন আমার বোন শুনেছে যে তার ফরম পূরণই হয়নি তখন সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আসলে সে এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমার বোন প্রবেশপত্র পেয়েছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়কেও ধন্যবাদ।

তেঁতুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রীর বিষয়টি শোনার পর আমি ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বারবার বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রাতেই তিনি আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে সকালে বোর্ড থেকে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগেই আমরা ওই ছাত্রীর কাছে প্রবেশপত্র তুলে দিতে পেরেছি। আমরা চাই না কেউ এমন ভুলের কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ুক। এ ছাড়া এমন ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য ওই প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভোরের কাগজের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

error: Content is protected !!

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেল সুমাইয়া

আপডেট টাইম : ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে প্রবেশপত্র মিলেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ি দাখিল মাদরাসার ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের। সকালেই তার হাতে প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয় উপজেলা প্রশাসন। পরে সে কালান্দিগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

জানা যায়, তিন মাস আগে নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণের ২৫০০ টাকা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সুমাইয়ার কাছ থেকে আদায় করে। এরপর পরীক্ষার জন্য দিন-রাত পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নেয় সুমাইয়া। শনিবার মাদরাসায় প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা। সেই প্রবেশপত্র আনতে যায় সুমাইয়া।
প্রবেশপত্রের জন্য অন্যদের মতো মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ৫০০ টাকাও দেন তিনি। প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে দেখেন যে তার নামে কোনো প্রবেশপত্রই আসেনি। পরে জানতে পারেন তার ফরম পূরণই করেনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তার বদলে ভুল করে দুই বছর আগে বিয়ে হয়ে লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়া সুরাইয়া নামের এক ছাত্রীর ফরম পূরণ করে দিয়েছেন তারা।

এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে বিষয়টি তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম রাতভর মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রাতেই বোর্ডের চেয়ারম্যান ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর গতকাল রবিবার সকালেই বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র পেয়ে দারুণ খুশি সুমাইয়া।

সুমাইয়ার বড় বোন মোর্শেদা আক্তার বলেন, যখন আমার বোন শুনেছে যে তার ফরম পূরণই হয়নি তখন সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আসলে সে এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমার বোন প্রবেশপত্র পেয়েছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়কেও ধন্যবাদ।

তেঁতুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রীর বিষয়টি শোনার পর আমি ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বারবার বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রাতেই তিনি আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে সকালে বোর্ড থেকে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগেই আমরা ওই ছাত্রীর কাছে প্রবেশপত্র তুলে দিতে পেরেছি। আমরা চাই না কেউ এমন ভুলের কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ুক। এ ছাড়া এমন ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য ওই প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।


প্রিন্ট