মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। কাজী শরীফ উদ্দিন মহম্মদপুর উপজেলার ওমেদপুর গ্রামের কাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত সোয়া আটটায় উপজেলা সদরের শহীদ আহম্মদ-মহম্মদ সড়কের সাবেক ফুডজোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার পাশাপাঁশি তাঁর বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস. কে নুরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভপাতি এসকে নুরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শেখ মো. ঈদুল, দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এর আগে তিনি উপজেলার বালিদিয়া, পলাশবাড়িয়া এবং নহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন হাট-বাজারে গনসংযোগ করেন।
শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের একজন প্রফেসর কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন। সদালাপি ও গুণি এই ব্যাক্তি মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাগুরা জেলা তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। কাজী শরিফ উদ্দিন মহম্মদপুর উপজেলাধীন ওমেদপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী হাবিবুর রহমান, মাতা কাজী আমেনা রহমান।
তিনি বিনোদপুর বি, কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ফরিদপুর থেকে এইচএসসি, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন্ড এর কুইন্স ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হতে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে আমেরিকার “এরিজুয়ানা স্টেট ” ইউনিভার্সিটি হতে কোয়ালিটি এডুকেশন, সুইজারল্যান্ড এর ওপেন ইউনিভার্সিটি হতে ডিপ্লোমা এবং মালয়য়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ইউনিভার্সিটি থেকে সিনিয়র স্টাফ কোর্স অন এডুকেশন সম্পন্ন করেন।
মূলত তিনি একজন সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার। ১৯৯৩ সালে ২৮ তম কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এসএসএফ এবং ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ছয় বছরের অধিক সময় ঢাকা মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তখন তিনি জাতীয় পর্যায়ে দুইবার এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে পুরস্কৃত হন। তিনি একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক, লেখক এবং কলামিস্ট। বিভিন্ন সময়ে সমকালীন রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার কলাম ও সংবাদ বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক পদে কর্মরত আছেন। তাছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ মাগুরা জেলা শাখার সদস্য সচিব। ছাত্রজীবন থেকেই কাজী শরিফ উদ্দিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সেনাবাহিনীর অফিসার পদে যোগ দেওয়ার আগপর্যন্তু তিনি মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের প্রচার ও সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ নীতি নির্ধারণী মহল যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো, নচেৎ নয়।’ এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
প্রিন্ট