ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে আলুর বস্তার ভাড়া ১২ টাকা ! Logo দিনাজপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ ২৪৫ ফুলবাড়ী থানা উপ কমিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা Logo কুষ্টিয়া ছাগলের ঘাঁস কাঁটতে গিয়ে নরসুন্দরের রহস্যজনক মৃত্যু Logo ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo ফুলবাড়ীতে কাজিহাল ইউনিয়নের কয়েকটি হাট পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে পাটের কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা

পাট চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় এবার তীব্র্র তাপপ্রবাহের কারণে পাট চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ বছর পাট উৎপাদনের ব্যয় নিয়ে বেশ চিন্তিত চাষীরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে পাটের কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকেই।

উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষী রাসেল খান বলেন, এ বছর প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে। এক বিঘা জমিতে ১ বার সেচ করাতে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, ঔষধ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে।

উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের চাষী সালাউদ্দিন জানান, ভ্যাপসা গরমে পাটে বিভিন্ন ধরনের পোঁকার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পাট চাষে সেচের পাশাপাশি পোঁকা দমনে আমাদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে এবার ফলনও কম হবে বলে ধারনা করছি। অন্যান্য বছর বিঘায় ১৭-১৮ মন পাটের ফলন হলেও এ বছর ১৩-১৫ মনের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ভ্যাপসা গরম পাট চাষে কি ধরনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ইসলাম শরীফ বলেন, এই গরমে পাটের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে পাটে লেদা ও চেলে পোঁকার সংক্রমণ, পাতা ঝরা ও পাতায় ফোসকা পড়া অন্যতম কারণ। তবে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই, পরিমাণ মতো কীটনাশক ও সেচ দিলে এ সমস্যা সমাধান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর সদরপুর উপজেলায় মোট ৬হাজার ৫শত ২৮হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এখনো পাটে তেমন কোন রোগ দেখা নেয়নি। থাকলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে আলুর বস্তার ভাড়া ১২ টাকা !

error: Content is protected !!

তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে পাটের কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
মোঃ হুমায়ুন কবির তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

পাট চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় এবার তীব্র্র তাপপ্রবাহের কারণে পাট চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ বছর পাট উৎপাদনের ব্যয় নিয়ে বেশ চিন্তিত চাষীরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে পাটের কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকেই।

উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষী রাসেল খান বলেন, এ বছর প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে। এক বিঘা জমিতে ১ বার সেচ করাতে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, ঔষধ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে।

উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের চাষী সালাউদ্দিন জানান, ভ্যাপসা গরমে পাটে বিভিন্ন ধরনের পোঁকার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পাট চাষে সেচের পাশাপাশি পোঁকা দমনে আমাদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে এবার ফলনও কম হবে বলে ধারনা করছি। অন্যান্য বছর বিঘায় ১৭-১৮ মন পাটের ফলন হলেও এ বছর ১৩-১৫ মনের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ভ্যাপসা গরম পাট চাষে কি ধরনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ইসলাম শরীফ বলেন, এই গরমে পাটের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে পাটে লেদা ও চেলে পোঁকার সংক্রমণ, পাতা ঝরা ও পাতায় ফোসকা পড়া অন্যতম কারণ। তবে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই, পরিমাণ মতো কীটনাশক ও সেচ দিলে এ সমস্যা সমাধান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর সদরপুর উপজেলায় মোট ৬হাজার ৫শত ২৮হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এখনো পাটে তেমন কোন রোগ দেখা নেয়নি। থাকলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


প্রিন্ট