মাগুরার মহম্মদপুরে এক সপ্তাহে পৃথক পাঁচটি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর অনেক অসহায় পরিবার ও ব্যবসায়ী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের টাকা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত শুক্রবার রাতে মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী বাজারে আগুন লেগে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় আরও দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাজারের কাপড়পট্টি এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন- নাজির মিয়া, নজরুল ইসলাম ও সাহাদৎ হোসেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে মহম্মদপুরের বাশো গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে সঞ্জিত কুমার বিশ্বাসের গরুর খামারে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি গরু ও দুটি বসতঘর পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার ছোট কলমধারী গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে একটি রান্নাঘর, দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর পুড়ে যায় ও দুটি গরু মারা যায়। এ ছাড়া গোয়ালঘরের পাশে বিছালির গাদা, ১০ মণ পাট, ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রান্নাঘর থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
গত সোমবার রাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বড় কলমধারী গ্রামের মৃত জোবান খানের ছেলে আল্লাদ খানের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় একটি বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ঘরের পাশে থাকা একটি পাটকাঠির গাদা পুড়ে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খালিয়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতঘর ও একটি গোয়ালঘর পুড়ে যায়। এ সময় একটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে মারা যায়। মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল কাফী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সব সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর রাখছেন।
প্রিন্ট