ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোর বিএনপির নেতৃত্বে হযরতকে দেখতে চাই তৃণমুল Logo মোহনপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা Logo ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে দুই সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo আজ খোকসা হানাদার মুক্ত দিবসঃ পালিত হবে যথাযজ্ঞ মর্যাদা Logo দৌলতপুরে জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে নবাগত ইউএনও’র যোগদান Logo বহুলীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বন্যা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শালিখায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬ দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক বাংলা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে নোয়াখালী হাতিয়া

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে হাতিয়া । সকাল থেকেই এই নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলায়  আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। নেই কোনো বাতাস। গরমের তীব্রতায় মানুষসহ পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই।  সবখানেই শুধু গরম আর গরম। একটু শীতল ছোয়া পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার  (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় হাতিয়ারন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে হাতিয়া  অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। হাতিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না।
আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে। ফলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।
হাতিয়া  উপজেলার   এক পথচারী এনামুল হক  বলেন, গাছের পাতাগুলো যেন একচুলও নড়ে না। তীব্র তাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে বায়ুমণ্ডল। প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি নেই।
আকবর হোসেন  বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাছাড়া সাধারণ পথের যাত্রী ও মানুষদেরও নাভিশ্বাস উঠছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর ভিড়। বিশেষ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার  ভোর থেকে হাতিয়ার  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে গরম বাড়তে থাকে। সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। তপ্ত রোদে খাঁ-খাঁ করছে সড়ক জনপদ। গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতিয়ার  উপকূলে পানি সংকট। প্রচণ্ড গরমে হাতিয়া গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী মরিয়া হয়ে উঠেছে একটু পানির আশায়। গরম থেকে একটু রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে পানির সঙ্গে দুরন্তপনায়। আর প্রচণ্ড তাপে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে আর কাজ করার মত শক্তি পাচ্ছে না বেশিরভাগ দিনমজুর।
রিক্সা চালক আমির  বলেন, জীবনের তাগিদেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হই, চারেদিকে প্রচন্ড গরম। নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে গরম থাকলেও শরীর থেকে এক ফুটাও ঘাঁম বের হচ্ছে না। হাতিয়া  আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন আজ নোয়াখালী  জেলার হাতিয়া উপজেলার  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে দিনের তাপমাত্রা কম-বেশি হলেও হাতিয়া অঞ্চলে এখনো দেখা নেই বৃষ্টির। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গরমের তেজ তীব্র থাকবে আরও কিছুদিন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর বিএনপির নেতৃত্বে হযরতকে দেখতে চাই তৃণমুল

error: Content is protected !!

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে নোয়াখালী হাতিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
তাহসিনুল আলম সৌরভ, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে হাতিয়া । সকাল থেকেই এই নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলায়  আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। নেই কোনো বাতাস। গরমের তীব্রতায় মানুষসহ পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই।  সবখানেই শুধু গরম আর গরম। একটু শীতল ছোয়া পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার  (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় হাতিয়ারন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে হাতিয়া  অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। হাতিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না।
আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে। ফলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।
হাতিয়া  উপজেলার   এক পথচারী এনামুল হক  বলেন, গাছের পাতাগুলো যেন একচুলও নড়ে না। তীব্র তাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে বায়ুমণ্ডল। প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি নেই।
আকবর হোসেন  বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাছাড়া সাধারণ পথের যাত্রী ও মানুষদেরও নাভিশ্বাস উঠছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর ভিড়। বিশেষ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার  ভোর থেকে হাতিয়ার  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে গরম বাড়তে থাকে। সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। তপ্ত রোদে খাঁ-খাঁ করছে সড়ক জনপদ। গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতিয়ার  উপকূলে পানি সংকট। প্রচণ্ড গরমে হাতিয়া গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী মরিয়া হয়ে উঠেছে একটু পানির আশায়। গরম থেকে একটু রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে পানির সঙ্গে দুরন্তপনায়। আর প্রচণ্ড তাপে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে আর কাজ করার মত শক্তি পাচ্ছে না বেশিরভাগ দিনমজুর।
রিক্সা চালক আমির  বলেন, জীবনের তাগিদেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হই, চারেদিকে প্রচন্ড গরম। নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে গরম থাকলেও শরীর থেকে এক ফুটাও ঘাঁম বের হচ্ছে না। হাতিয়া  আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন আজ নোয়াখালী  জেলার হাতিয়া উপজেলার  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে দিনের তাপমাত্রা কম-বেশি হলেও হাতিয়া অঞ্চলে এখনো দেখা নেই বৃষ্টির। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গরমের তেজ তীব্র থাকবে আরও কিছুদিন।

প্রিন্ট