ঢাকা , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হত্যার বিচারের দাবিতে মধুখালীতে বিক্ষোভ মিছিল, আহত-১৫ Logo জাতীয় অপরাজিতা পুরস্কার লাভ করেন নলছিটির নাজনীন আক্তার নিপা Logo নাটোরের সিংড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান হলেন দেলোয়ার হোসেন পাশা Logo চরভদ্রাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ Logo “আমরা আমতলীবাসী” সংগঠনের উদ্যোগে স্যালাইন, শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ Logo তীব্র তাপপ্রবাহে গোয়ালন্দে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট-ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা Logo বোয়ালমারীতে ৫ লাখ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস Logo তীব্র তাপদাহে গোপালগঞ্জ পুলিশের মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন Logo কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা Logo নাটোরে বাগাতিপাড়ায় কয়েলের আগুনে গবাদিপশু সহ ঘর পুড়ে ছাই
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইন্তেকালে রাউজানের গ্রামের বাড়ীতে শোকের ছায়া

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইন্তেকালে তাঁর জন্মস্থান রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী কোয়েপাড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরী এই গ্রামের মরহুম মঞ্জর মোরশেদ চৌধুরী প্রকাশ হামদু মিয়ার পুত্র। বাবার ঘরে পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক শ্রদ্ধা ও জ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন সংঠনের নেতৃবৃন্দরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ওষুধ নীতির অন্যতম প্রণেতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও নাগরিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ।

গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে গত সোমবারই (১০ এপ্রিল) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিলো ডা. জাফরুল্লাহকে।

সেখানে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবনের শেষ বছরগুলোতে জটিল কিডনি রোগে ভুগছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার শেষ ইচ্ছা ছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নিয়ে মরতে চান। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হত্যার বিচারের দাবিতে মধুখালীতে বিক্ষোভ মিছিল, আহত-১৫

error: Content is protected !!

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইন্তেকালে রাউজানের গ্রামের বাড়ীতে শোকের ছায়া

আপডেট টাইম : ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইন্তেকালে তাঁর জন্মস্থান রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী কোয়েপাড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরী এই গ্রামের মরহুম মঞ্জর মোরশেদ চৌধুরী প্রকাশ হামদু মিয়ার পুত্র। বাবার ঘরে পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক শ্রদ্ধা ও জ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন সংঠনের নেতৃবৃন্দরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ওষুধ নীতির অন্যতম প্রণেতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও নাগরিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ।

গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে গত সোমবারই (১০ এপ্রিল) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিলো ডা. জাফরুল্লাহকে।

সেখানে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবনের শেষ বছরগুলোতে জটিল কিডনি রোগে ভুগছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার শেষ ইচ্ছা ছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নিয়ে মরতে চান। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি।