আলফাডাঙ্গা উপজেলার দিঘলবানা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুমতী নদীর পাড়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রলারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রলারটি মুহম্মাদপুরের কালিশংকরুপুর গ্রামের মো. রহিম মোল্লার। এ ঘটনায় রহিম মোল্লা বাদী হয়ে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি গোলজার মোল্লাসহ অন্যদের নামে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা যায়, কালিশংকরপুর গ্রামের কবির মোল্লা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের মধ্যে এলাকায় বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে মঙ্গলবার উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয়পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় কবির মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে রবিউল চেয়ারম্যানের সামর্থকরা বুধবার সন্ধ্যায় মধুমতী নদীর পাড়ে পড়ে থাকা কবির মোল্লার বাইচের নৌকা পুড়িয়ে দেয় । কবির মোল্লার স্ত্রী চম্পা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, ষড়যন্ত্র করে নৌকা পুড়িয়ে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। কবির মোল্লার লোকজন নৌকা পুড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থাকায় মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এ ঘটনার দুই দিন পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় এইক স্থানে মধুমতী নদী পাড়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রলারে ইউপি চেয়ারম্যানের সামর্থনকারী পলাশবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি গোলজার মোল্লার নেতৃত্বে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গোলজার মোল্লা জানান, নদী পাড়ে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ট্রলার রবিউল চেয়ারম্যানের লোকজন পুড়িয়ে তাদের অপরাধ ঢাকতে চাচ্ছে। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ট্রলারের মূল মালিকশাহাদৎ মোলা তবে রহিম মোল্লাকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওসি মো.ওয়াহিদ্জ্জুামান জানান, বাইচের নৌকা পুড়ানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ট্রলার পুড়ার ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নাই।
প্রিন্ট