কৃষিই সমৃদ্ধি এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে মাগুরা সদর উপজেলায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ১০ এপ্রিল দুপুর ২.৩০ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের রাউতড়া ব্লকে বারি সরিষা-১৪ ফসল জাতের মাঠ দিবস সভা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাগুরা সদর এর আয়োজনে পরিচালিত করা হয়।
বারি সরিষা-১৪ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মাগুরা সদর কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবির। বারি সরিষা মাঠ দিবস সভায় প্রধান অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন মনিটরিং অফিসার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প যশোর অঞল, যশোর কৃষিবিদ হীরক কুমার সরকার।
এছাড়াও সম্মানিত বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মাগুরা মোশাররফ হোসেন, হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন, মহিলা মেম্বার সদস্য মরিয়ম বিশ্বাস, মেম্বার রবিউল ইসলাম, হাজরাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাউতড়া ব্লক তাসলিমুন মিজান ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাজরাপুর-ইছাখাদা ব্লক আব্দুল আলিম।
বারি সরিষা-১৪ মাঠ দিবস আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান কৃষকদের উদ্দেশ্য বলেন জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন তেল জাতীয় ফসল বারি সরিষা-১৪ জমিতে চাষাবাদ করে উৎপাদন করলে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি ও পূরণ করা যাবে। আর চাষীদের যতটুকু জমি আছে ততটুকু পরিমাণ মতো সার জমিতে প্রয়োগ করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন জমিতে টিএসপি সার দিলে ড্যাপ সার দেওয়ার দরকার নেই এবং ড্যাপ সার দিলে ইউরিয়া সার কম দিতে হবে। বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ হীরক কুমার সরকার বলেন কৃষি জমিতে সাধ্যমত জৈব সার ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিবছর আবাদি, অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারি সরিষা-১৪ ফসলের চাষ করে খাবারের তেলের চাহিদা পূরণ করা যাবে।
সভাপতি কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মাগুরা সদর উপজেলায় আবাদি ও অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে তার মধ্যে এই বছরে সদর উপজেলার বহু জমিতে বারি সরিষা-১৪ ফসলের উৎপাদন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বারি সরিষা মাঠ দিবস সভায় উপস্থিত ছিলেন রাউতড়া ব্লকের ৭০ জন কৃষক সদস্য বৃন্দগণ।
প্রিন্ট