মাগুরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রতারিত করা এবং মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ না করে পণ্য বিক্রি করার ব্যাপারে কসমেটিক, তথা প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা। মাগুরা ভোক্তা অধিকার সংস্থাটি বলছে, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মানলে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আর অভিযানে কোনো ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটি বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মাগুরা ভোক্তা অধিদপ্তরে শনিবার ৮ এপ্রিল প্রসাধনী আমদানি ও বাজারজাতকারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি ও নিয়ম মেনে না চলার বিষয়ে সতর্ক করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় মাগুরা।
তিনি বলেন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশি প্রসাধনীতে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী বিক্রি করা হয়। এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি এবং ভোক্তাদের প্রতারিত করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।
শনিবার ৮ এপ্রিল দুপুরে মাগুরা জেলা শহরের জামে মসজিদ রোড জুতা পট্টিতে অবস্থিত “ভৌমিক ষ্টোরে” নকল ও ভেজাল প্রসাধনপণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় একাধিক নকল পন্য সামগ্রিই জব্দ করা হয়। এ সময় নকল পন্য সামগ্রিই মজুদ ও বিক্রয়ের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ও শত্রুজিৎপুর বাজারে অবস্থিত শেখ ফার্মেসীতে নকল ঔষধ রাখার দায়ে ১৭হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথ্যসূত্রে জানা গেছে আগামী রবিবার ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সারা দেশে। এরপর থেকে নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালানো হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কোনও মার্কেটে নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক সেটি বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রয়োজনে অধিদফতর এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান। বুধবার ৫ এপ্রিল ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
প্রিন্ট