ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ আনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) থেকে এই বিদ্যুৎ নেয়া শুরু করে দেশের সরকারি সংস্থা একক পাইকারি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। শুক্রবারও আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
পিডিবি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, দুদিনে গড়ে ঘণ্টাপ্রতি ৭২০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে আদানি।
গত ৯ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী এক টানা ৭২ ঘণ্টা পূর্ণ সক্ষমতায় বা লোডে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে হয়। তারপর ঠিক হয় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা বা প্রকৃত ক্ষমতা কত। এরপরই শুরু হয় বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এই পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।
গোড্ডা এলাকায় ১৪৯৮ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিাণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। এই ইউনিটের স্থাপিত বা প্রকৃত ক্ষমতা হলো ৭৪৯ মেগাওয়াট। আগামী জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসার কথা। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটারের একটি সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে। সেখান থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে উঠবে, ওই এলাকা থেকে বিদ্যুৎ আসবে বগুড়াতে। বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী বলেন, আদানি গড়ে ৭২০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এটি চাহিদার ওপর নির্ভর করছে কতটুকু বিদ্যুৎ সেখান থেকে নেয়া হবে। চাহিদা বাড়া-কমার ওপর ভিত্তি করেই তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
কেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছরের চুক্তিতে বিদ্যুৎ কিনছে পিডিবি। আদানির সঙ্গে পিডিবির এই ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যা নিয়ে সমালোচনা, তার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি ভাড়া, কয়লার দাম, বিদ্যুৎ না কিনেও কয়লার মূল্য পরিশোধসহ বেশ কিছু বিষয়।
প্রিন্ট