বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বাবদ মোট টোল আদায় হয়েছে ৬১০ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকা। পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেডের (এমবিইসি) সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পুরো সময়ের জন্য দিতে হবে ৬৯২ কোটি ৯ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তা আমরা এখন টোল থেকে পরিশোধ করতে পারব।’
পদ্মা সেতুর মেয়াদ ১০০ বছরের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে আগামী ৩৫ বছরে টোল থেকে এর নির্মাণ ব্যয় আহরণ করা সম্ভব হবে।
বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যেসব ব্যবসায়ী বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘রমজানে ব্যবসায়ীদের কষ্ট ও কান্না সহ্য করা যায় না। আমি আগেই বলেছি, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব। আমরা ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মূল্যায়ন করব।’
তিনি হুঁশিয়ার করে দেন, ‘অগ্নিনির্বাপক যানবাহনের ক্ষতি করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। যারা লাঠিসোঁটা নিয়ে ফায়ার ব্রিগেড সদর দপ্তরে প্রবেশ করে অগ্নিনির্বাপক যানবাহনের ক্ষতি করেছে, আমি তাদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে কেউ অগ্নিনির্বাপক যানবাহন বা ফায়ারম্যান বা কোনো পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ওপর আক্রমণ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো হামলা সহ্য করা হবে না।
![](https://somoyerprotyasha.com/wp-content/uploads/2023/04/Dhaka-06.04.2023-02.jpg)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবাজারে এর আগে ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তিনি বলেছিলেন, তাঁর সরকার পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজার নির্মাণের ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্ট একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবাজার নির্মাণের প্রক্রিয়া স্থগিত করায় তারা তা করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘বাজারটি নির্মিত হলে বঙ্গবাজার হয়তো এমন অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হতো না।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব ও সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট