সাজেদুর রহমানঃ
বেনাপোল স্থলবন্দরের গেটে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৬০ জন আনসার সদস্যকে মঙ্গলবার অন্যত্র বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ। বদলীকৃত সদস্যদের মধ্যে কমান্ডারসহ ৮ জন বিদায় নিয়েছে এবং নতুন কমান্ডারসহ ৯ জন সদ্য যোগদান করেছে। বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যায় ক্রমে অন্যরা চলে যাবে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে ১৬৩ জনের একটি ব্যাটালিয়ন বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। দায়িপ্তরত কমান্ডার সাপ্তাহিক চুক্তিতে সদস্যদের কাছে এক একটি গেট বিক্রি করে থাকে। কমান্ডারের চাহিদা মত টাকা দিতে না পারলে তাকে সব চেয়ে খারাপ জায়গায় ডিউটি দেন। কমান্ডারের এ চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের চাপ দিয়ে চাঁদা আদায় করতে ব্যস্থ থাকে তারা।
ট্রাক চালক নুরুজ্জামান জানান, বেনাপোল বন্দরে ট্রাক প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সকল গেট থেকে ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আনসার সদস্যরা। টাকা না দিলে গেট খুলতে ঝামেলা করে দাঁড় করিয়ে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনসার সদস্য জানান, চাঁদা আদায়ের পর এ টাকার একটি মোটা অংশ কমান্ডার কে দিতে হয়। তিনি এ টাকার একটি অংশ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য দিত। আমরা টাকা কালেকশন করলেও পুরাটা আমরা ভোগ করতে পারিনি, এখন পরিস্থিতির শিকার।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন সিকিউরিটি গার্ড দায়িত্বে রয়েছেন। বন্দরে ট্রাক প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় বকশিশের নামে এই দুই সংস্থার সদস্যরা চাঁদাবাজি করছে। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রথম দফায় ৬০ জন আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
সদ্য যোগদানকারী আনসার কমান্ডার শ্রী অসিত কুমার জানান, আনসার ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ ৬০ জনকে দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলী করেছে। বদলীকৃত কমান্ডার এইচ এম হেলালুজ্জামান সহ ৮জন বেনাপোল থেকে বিদায় নিয়েছে এবং নতুন ৯ জন এখানে যোগদান করেছে।
পর্যায় ক্রমে নতুন লোক আসবে এবং বদলী হওয়ারা চলে যাবে। বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬৩ আনসার সদস্যরা দায়িপ্তে নিয়োজিত আছে। প্রথম দফায় ৬০ জনকে বদলী করা হলেও পর্যায়ক্রমে অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
প্রিন্ট