ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাত্র ৩৪ ঘণ্টার মধ্যে চোরাই ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার, চোর গ্রেপ্তার

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোরে চাঞ্চল্যকর ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার চুরির ঘটনায় মাত্র ৩৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযুক্ত চোরকে গ্রেপ্তার করে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করে সাড়া ফেলেছে তানোর থানা পুলিশ। দ্রুত এ সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন।

 

জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই সোমবার দুপুরে তানোর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে আসা এক বৃদ্ধা নারীর ব্যাগ থেকে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তিনি তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই তানোর থানা পুলিশ ওসি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের একান্নপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইদুর রহমানের পুত্র চোর আরজেদ আলীকে (৩৪) তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

 

ওসি আফজাল হোসেন জানান, “ঘটনার পর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছি—এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। তানোর থানা সবসময় অপরাধ নির্মূলে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের কারণেই এ সফলতা এসেছে।”

 

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরজেদ আলী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হতে পারে। তার বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করেছেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যে একটি বড় চুরির রহস্য উদঘাটন এবং চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার নিঃসন্দেহে পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী সাফল্য। তারা বলেন, “ওসি আফজাল হোসেন যে সাহস, দূরদর্শিতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন অফিসার থাকলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে আস্থা আরও দৃঢ় হবে।” তানোর থানার এ সাফল্যে রাজশাহীর সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও সম্মানও বেড়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

মাত্র ৩৪ ঘণ্টার মধ্যে চোরাই ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার, চোর গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোরে চাঞ্চল্যকর ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার চুরির ঘটনায় মাত্র ৩৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযুক্ত চোরকে গ্রেপ্তার করে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করে সাড়া ফেলেছে তানোর থানা পুলিশ। দ্রুত এ সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন।

 

জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই সোমবার দুপুরে তানোর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে আসা এক বৃদ্ধা নারীর ব্যাগ থেকে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তিনি তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই তানোর থানা পুলিশ ওসি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের একান্নপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইদুর রহমানের পুত্র চোর আরজেদ আলীকে (৩৪) তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

 

ওসি আফজাল হোসেন জানান, “ঘটনার পর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছি—এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। তানোর থানা সবসময় অপরাধ নির্মূলে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের কারণেই এ সফলতা এসেছে।”

 

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরজেদ আলী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হতে পারে। তার বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করেছেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যে একটি বড় চুরির রহস্য উদঘাটন এবং চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার নিঃসন্দেহে পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী সাফল্য। তারা বলেন, “ওসি আফজাল হোসেন যে সাহস, দূরদর্শিতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন অফিসার থাকলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে আস্থা আরও দৃঢ় হবে।” তানোর থানার এ সাফল্যে রাজশাহীর সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও সম্মানও বেড়েছে।


প্রিন্ট