ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক Logo খোকসায় মুক্তিযোদ্ধা দিয়ানত আলী মাস্টার ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন Logo ফরিদপুরে আইডিইবির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‌ Logo এম এ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবলের ‌ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি — হারুন অর রশীদ Logo বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়া ও রকিবুল ইসলাম বকুলের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল Logo হাতিয়ায় শহীদ রিজভীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম Logo মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহত অভিভাবক রজনীর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন Logo রংপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর Logo আলফাডাঙ্গায় চলছে নদীভাঙনের তাণ্ডব, আতঙ্কে দিন কাটছে শত শত পরিবার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

খর্ব হলো ইউএনও’র ক্ষমতা

উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।এছাড়া বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্তকেও অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা কীভাবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

রিটকারী পক্ষের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখছে। এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকছেন।

এছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয় তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।

আবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের হিসাবও তাদেরকে দেয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থী।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক

error: Content is protected !!

খর্ব হলো ইউএনও’র ক্ষমতা

আপডেট টাইম : ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।এছাড়া বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্তকেও অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা কীভাবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

রিটকারী পক্ষের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখছে। এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকছেন।

এছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয় তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।

আবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের হিসাবও তাদেরকে দেয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থী।


প্রিন্ট