ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীর ভূমি অফিসের পুকুরে অবৈধ ড্রেজার, মাটি বিক্রি!

  • এ.এস.এম. মুরসিদ
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১১৬ বার পঠিত

সরকারি নিয়মে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে পুকুর খনন নিষিদ্ধ থাকলেও খোদ সরকারি ভূমি অফিসের মধ্যে অবস্থিত পুকুর খনন চলছে অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে। ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ‘ক’ ভূমি অফিসে অবস্থিত একটি পুকুর ড্রেজারের সাহায্যে দুই সপ্তাহ যাবত পুনঃখননের কাজ চলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকার অজুহাতে পুকুরটি অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে খনন করানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন যেখানে সরকারি নিয়মে নিষিদ্ধ, সেখানে খোদ ভূমি অফিসের পুকুরের মধ্যে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন প্রচলিত নিয়মের চরম উপেক্ষা। ড্রেজার মালিক পুকুর খননের বিনিময়ে উত্তোলিত বালু নিজের ইচ্ছেমতো বিক্রির সুযোগ পাবে। সেই সুবাদে ড্রেজার মালিক পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নিচু এলাকা প্রতি ফুট ৪টাকা দরে ওই পুকুর থেকে উত্তোলিত বালু দিয়ে ভরাট করছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুভাষ সাহার বাড়ির পেছনের ফলদ বাগানের একটি নিম্নাঞ্চল সাত দিন যাবত ৩৫হাজার ফুট বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী গণেশ সাহার নিচু এলাকা বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে। ওই পুকুর থেকে ১৫/২০ গজ দূরত্বে সাতৈর ইউনিয়ন ক এবং খ ভূমি অফিসের কার্যালয়।

এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক আকরাম হোসেন বলেন, বোয়ালমারীর এসিল্যান্ড স্যার আমাকে পুকুর খননের দায়িত্ব দিয়েছেন। পুকুর খননের জন্য ভূমি অফিস আমাকে কোন টাকা দেবে না, আমি বালু বিক্রি করে যা আয় করতে পারি। তাই প্রতি ফুট বালু ৪টাকা দরে বিক্রি করছি।

সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ক) শেখ ফরিদ বলেন, গত ১৫ বছর যাবত শুকনো মৌসুমে পুকুর শুকিয়ে যায় তাই খনন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুকুর খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি, কোন বরাদ্দও আসেনি।

বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক সাংবাদিকদের বলেন, পুকুরটি পতিত পড়ে আছে। কোন রাজস্ব আয় করতে পারছি না। তাই খনন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মাটি বিক্রির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের জায়গা ভরাট করার কথা না, আমাদের ভূমি অফিসের নিচু এলাকা ভরাট করার কথা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীর ভূমি অফিসের পুকুরে অবৈধ ড্রেজার, মাটি বিক্রি!

আপডেট টাইম : ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সরকারি নিয়মে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে পুকুর খনন নিষিদ্ধ থাকলেও খোদ সরকারি ভূমি অফিসের মধ্যে অবস্থিত পুকুর খনন চলছে অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে। ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ‘ক’ ভূমি অফিসে অবস্থিত একটি পুকুর ড্রেজারের সাহায্যে দুই সপ্তাহ যাবত পুনঃখননের কাজ চলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকার অজুহাতে পুকুরটি অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে খনন করানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন যেখানে সরকারি নিয়মে নিষিদ্ধ, সেখানে খোদ ভূমি অফিসের পুকুরের মধ্যে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন প্রচলিত নিয়মের চরম উপেক্ষা। ড্রেজার মালিক পুকুর খননের বিনিময়ে উত্তোলিত বালু নিজের ইচ্ছেমতো বিক্রির সুযোগ পাবে। সেই সুবাদে ড্রেজার মালিক পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নিচু এলাকা প্রতি ফুট ৪টাকা দরে ওই পুকুর থেকে উত্তোলিত বালু দিয়ে ভরাট করছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুভাষ সাহার বাড়ির পেছনের ফলদ বাগানের একটি নিম্নাঞ্চল সাত দিন যাবত ৩৫হাজার ফুট বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী গণেশ সাহার নিচু এলাকা বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে। ওই পুকুর থেকে ১৫/২০ গজ দূরত্বে সাতৈর ইউনিয়ন ক এবং খ ভূমি অফিসের কার্যালয়।

এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক আকরাম হোসেন বলেন, বোয়ালমারীর এসিল্যান্ড স্যার আমাকে পুকুর খননের দায়িত্ব দিয়েছেন। পুকুর খননের জন্য ভূমি অফিস আমাকে কোন টাকা দেবে না, আমি বালু বিক্রি করে যা আয় করতে পারি। তাই প্রতি ফুট বালু ৪টাকা দরে বিক্রি করছি।

সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ক) শেখ ফরিদ বলেন, গত ১৫ বছর যাবত শুকনো মৌসুমে পুকুর শুকিয়ে যায় তাই খনন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুকুর খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি, কোন বরাদ্দও আসেনি।

বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক সাংবাদিকদের বলেন, পুকুরটি পতিত পড়ে আছে। কোন রাজস্ব আয় করতে পারছি না। তাই খনন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মাটি বিক্রির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের জায়গা ভরাট করার কথা না, আমাদের ভূমি অফিসের নিচু এলাকা ভরাট করার কথা।