ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সমাবেশ ও আংশিক কমিটি গঠন Logo দুধ দিয়ে গোসল করে যুবক বললেন, জীবনে আর কোনো দিন প্রেম করব না Logo বাঘায় বিএনপি’র দু’গ্রুপে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে, আহত-৭ Logo রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo তানোরে নছির কান্ডে নিঃস্ব কৃষক Logo ফরিদপুরে চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ম্যাটস এর শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি Logo ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo স্কুলের সবাই কৃষক শিখছেন আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি Logo ৬ দিন পর মাটিতে পোঁতা অবস্থায় মিলল অ্যাম্বুলেন্স চালকের গলাকাটা লাশ Logo লালপুরে আ’লীগ ছাত্রদল সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এক্সরে মেশিন বিকল দুই বছর, সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগিরা

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে । নতুন এক্সরে মেশিন স্থাপনের দাবি জানালেও কার্যকর হয়নি। এর ফলে, রোগীদের বেশি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্সরে করাতে হচ্ছে ।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ এম এমের বিকল এক্সরে মেশিনটি মেরামত করেও চলবেনা বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ( নিমিউ এন্ড টিসি)। ২০২০ সালের অক্টোবরে এ ঘোষনার পরে নতুন কোন এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে কম খরচে সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীরা।

উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষের সরকারি চিকিৎসা সেবার একমাত্র ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৩১ থেকে ৫০শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জন, ইনডোরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গড়ে ৪০-৫০ জন এবং জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তাদের অনেকের এক্সরে করানোর প্রয়োজন পড়ে। সরকারি সুবিধায় এক্সরে করতে না পেরে বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি টাকায় এক্সরে সেবা নিতে হচ্ছে। এতে অর্থ ও সময় বেশি লাগছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়, প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর বিভিন্ন ধরনের এক্সরে করতে খরচ হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা (সাদা-কালো)। প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে লাগছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা (সাদা-কাালো) । আর ডিজিটাল এক্সরে (রঙিন) করাতে লাগে ৪০০ থেকে ১০০০( এক ) হাজার টাকা। তবে আট্রাসনোগ্রাম,ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

পায়ে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা জহুরুল ইসলাম(৩০)ও পারভীন বেগম(৪৫) জানান, চিকিৎসক তাদের পায়ের এক্সরে করানোর পরামর্শ দেন। বে-সরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। সরকারি সুবিধা পেলে লাগতো ৮০ টাকা। সরকারিভাবে এক্সরে করাতে না পেরে তাদের মতো অনেককেই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ এক্সরে সেবা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নতুন এক্সরে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নতুন এক্সরে মেশিন দেওয়ার ব্যাপারে আস্বস্থ করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। চিকিৎসা-ঔষধসহ ইসিজি, আল্ট্রোসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় ঘাটতি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সমাবেশ ও আংশিক কমিটি গঠন

error: Content is protected !!

এক্সরে মেশিন বিকল দুই বছর, সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগিরা

আপডেট টাইম : ০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
আব্দুল হামিদ মিয়া, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে । নতুন এক্সরে মেশিন স্থাপনের দাবি জানালেও কার্যকর হয়নি। এর ফলে, রোগীদের বেশি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্সরে করাতে হচ্ছে ।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ এম এমের বিকল এক্সরে মেশিনটি মেরামত করেও চলবেনা বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ( নিমিউ এন্ড টিসি)। ২০২০ সালের অক্টোবরে এ ঘোষনার পরে নতুন কোন এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে কম খরচে সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীরা।

উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষের সরকারি চিকিৎসা সেবার একমাত্র ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৩১ থেকে ৫০শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জন, ইনডোরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গড়ে ৪০-৫০ জন এবং জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তাদের অনেকের এক্সরে করানোর প্রয়োজন পড়ে। সরকারি সুবিধায় এক্সরে করতে না পেরে বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি টাকায় এক্সরে সেবা নিতে হচ্ছে। এতে অর্থ ও সময় বেশি লাগছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়, প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর বিভিন্ন ধরনের এক্সরে করতে খরচ হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা (সাদা-কালো)। প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে লাগছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা (সাদা-কাালো) । আর ডিজিটাল এক্সরে (রঙিন) করাতে লাগে ৪০০ থেকে ১০০০( এক ) হাজার টাকা। তবে আট্রাসনোগ্রাম,ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

পায়ে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা জহুরুল ইসলাম(৩০)ও পারভীন বেগম(৪৫) জানান, চিকিৎসক তাদের পায়ের এক্সরে করানোর পরামর্শ দেন। বে-সরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। সরকারি সুবিধা পেলে লাগতো ৮০ টাকা। সরকারিভাবে এক্সরে করাতে না পেরে তাদের মতো অনেককেই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ এক্সরে সেবা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নতুন এক্সরে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নতুন এক্সরে মেশিন দেওয়ার ব্যাপারে আস্বস্থ করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। চিকিৎসা-ঔষধসহ ইসিজি, আল্ট্রোসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় ঘাটতি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।


প্রিন্ট